ব্ল্যাক হােল | Blackhole

Blackhole scientists published a picture of Black Hell in space. Although the picture was painted two years ago. But it took time to analyze the judgment of the film.

What has been in the imagination for so long, painted in the art of science fiction, the real photo of this time in front of the public surrounded by a dark galak orange orange.




The Black Hell weighs 600 million times the Sun and is 530 million light-years from Earth. The event Horizon Telescope (EHT), which is located in the center of the M7’s galaxy, is actually located in eight remote parts of the world. Installed wireless binoculars. EHT chief scientist showing pictures of Black Hale

ব্ল্যাক হােল | Blackhole

জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি দিন ১০ এপ্রিল ২০১৯। এদিন বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করলেন মহাশূন্যের ব্ল্যাক হােলের ছবি। যদিও ছবিটি তােলা  হয়েছিল দু ’ বছর আগে। কিন্তু ছবিটির বিচার বিশ্লেষণ করতে লেগে গিয়েছে সময়।

এতদিন যা ছিল কল্পনায়, কল্পবিজ্ঞানের কাহিনিতে শিল্পীরতুলিতে আঁকা, তার বাস্তব ফটো এ বার জনসমক্ষে এক অন্ধকার গােলক ঘিরে কমলা রঙের আলাের ছটা।




ব্ল্যাক হােলটির ওজন সূর্যের ৬০০ কোটি গুণ, দূরত্ব পৃথিবী থেকে ৫ লক্ষ ৩০ কোটি আলােকবর্ষ। এম৮৭ ’ গ্যালাক্সির কেন্দ্রে ওই ব্ল্যাক হােলের ছবি তুলেছে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ ( ই এইচ টি ), আসলে যা পৃথিবীর আটটি প্রত্যন্ত জায়গায় স্থাপিত বেতার দূরবীন। ব্ল্যাক হােলের ছবি দেখিয়ে ইএইচটি – র প্রধান বিজ্ঞানী

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেপার্ড ডােয়েলম্যান ওয়াশিংটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যাকে দেখা যায় না বলে আমরা এতদিন জেনে এসেছি, তা এবার দেখলাম। একটা ব্ল্যাক হােলের ছবি দেখলাম এবং তা তুলে ফেললাম । পাশে বসা কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাভেরি ব্রডেরিক বলেন, সায়েন্স ফিকশন হ্যাজ বিকাম সায়েন্স ফ্যাক্ট




ডােয়েলম্যান, ব্রডেরিক এবং আরও ২০০ জন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ( যাঁরা বিশ্বের ষাটটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ) সংগৃহীত ব্ল্যাক হােলের ছবি এবং সে – সম্পর্কিত লেখা প্রকাশিত হয়েছে ‘ অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস ’ – এ  ব্ল্যাক হােলের ছবি কীভাবে তােলা হয়েছে , এ প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন , ব্ল্যাক হােল জিনিসটার ছবি তােলা যায় না। রেডিয়াে টেলিস্কোপ শনাক্ত করে মানুষের  চোখে – অদৃশ্য বেতার তরঙ্গের। আর ব্ল্যাক হােলের খিদে এমন আগ্রাসী যে, তা গিলে খায় সব কিছু , রেহাই দেয় না কোনও রকমের তরঙ্গকেও। সে জন্যই তার নাম ‘ ব্ল্যাক হােল ’, বাংলায় অন্ধকুপ।

ব্ল্যাক হােলের চারপাশে যে – চৌহদ্দি, যার মধ্যে এক বার গিয়ে পড়লে রেহাই নেই কোনও কিছুরই, তখন কেবলই পতন, সেই চৌহদ্দির নাম ইভেন্ট হরাইজন। সেই চৌহদ্দির দিকে ধাবমান বস্তুপিণ্ড ঘুরতে থাকে ভীম বেগে। ধাবমান সেই বস্তু থেকে বেরােয় নানা রকমের ছটা। আট দূরবীনের সমষ্টি ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ ছবি তুলেছে সেই ছটার। দীর্ঘ আট বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ডােয়েলম্যান এবং তাঁর সহযােগীরা। আটটি টেলিস্কোপের কোনওটা ছিল পাহাড়চূড়ায়, কোনওটা কুমেরু প্রদেশে, কোনওটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫ মিটার উঁচু বরফের পাশে। যে – তরঙ্গ থেকে এসেছে ব্ল্যাক হােলের খবর, সে তরঙ্গ প্রসারে বিঘ্ন ঘটায় জলীয় বাষ্প। তাই খুঁজতে হয়েছে এমন জায়গার দূরবীন, যেখানে জলীয় বাষ্প প্রায় অনুপস্থিত।