সংক্ষিপ্ত টীকা-কমলাকান্তের দপ্তর প্রবন্ধ পুস্তক, প্রাচীন সাহিত্য সমূহ | Bengali Ancient Literature

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Bengali Ancient Literature. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে কমলাকান্তের দপ্তর প্রবন্ধ পুস্তক, প্রাচীন সাহিত্য সমূহ | Bengali Ancient Literature

Ajjkal

কমলাকান্তের দপ্তর প্রবন্ধ পুস্তক, প্রাচীন সাহিত্য সমূহ | Bengali Ancient Literature

■ কমলাকান্তের দপ্তর:-

উত্তর:: ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ বঙ্কিমচন্দ্র রচিত একটি প্রবন্ধ পুস্তক। এটি ১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। নামে প্রবন্ধ পুস্তক হলেও এটা রম্য রচনা জাতীয়। বাংলা ভাষায় ও সাহিত্যে এই ধরনের পুস্তক আর কেউই রচনা করতে পারেননি। বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং তাঁর লেখা ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থকে তাঁর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক সৃষ্টি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে কমলাকান্ত নামক একজন আফিংসেবী ব্রাহ্মণের জগৎ ও জীবন সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব উপলব্ধি তিনি অনবদ্য গদ্যভাষায় প্রকাশ করেছেন। ‘আমার মন’, ‘বিড়াল’, ‘আমার দুর্গোৎসব’, ‘ফুলের বিবাহ’, ‘বড় বাজার’, ‘পতঙ্গ’ প্রভৃতি এই গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত বিখ্যাত রচনা। কমলাকান্তের দপ্তরের ভাষা— “দেখ, আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি ? খাইতে পাইলে কে চোর হয় ? দেখ, যাহারা বড় বড় সাধু, চোরের নামে শিহরিয়া ওঠেন, তাহারা অনেকে চোর অপেক্ষাও অর্ধার্মিক। তাহাদের চুরি করিবার প্রয়োজন নাই বলিয়াই চুরি করেন না।”

❏ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য:-

উত্তর:: স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্রমণ করে সেখানকার ধনী ও গরীব সম্পর্কে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য’ স্বামী বিবেকানন্দের লেখা একটি গদ্যগ্রন্থ। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ইংলন্ড ও ফরাসী দেশ ভ্রমণকালে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, আলোচ্য গ্রন্থে তার সুন্দর বর্ণনা রয়েছে। বিদেশ ভ্রমণকালে তিনি যে সকল স্থান দেখেছেন, তার সঙ্গে তুলনা করেছেন নিজের দেশের। এই গদ্যগ্রন্থের ভাষা যেমন অপূর্ব, তেমনি এর সরসতাও তুলনাহীন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্ত্য’র ভাষা— “একদল লোক ভোগোপযোগী যন্ত্র তৈয়ার করতে লাগলো হাত দিয়ে বা বুদ্ধি করে। একদল সেইসব ভোগ্যদ্রব্য রক্ষা করতে লাগলো। সকলে মিলে সেই সব বিনিময় করতে লাগলো, আর মাঝখান থেকে একদল ওস্তাদ এ জায়গার জিনিসটা ও জায়গায় নিয়ে যাবার বেতনস্বরূপ সমস্ত জিনিষের অধিকাংশ আত্মসাৎ করতে শিখলে। যে চাষ করলে সে পেলে ঘোড়ার ডিম; যে পাহারা দিত, সে জুলুম করে কতকটা আগভাগ নিলে , অধিকাংশ নিলে ব্যবসাদার, সে বয়ে নিয়ে গেল।”

■ প্রাচীন সাহিত্য:-

উত্তর:: ‘প্রাচীন সাহিত্য’ রবীন্দ্রনাথ রচিত প্রাচীন সাহিত্য সমালোচনামূলক গ্রন্থ। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত। ‘প্রাচীন সাহিত্য গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হল — ‘রামায়ণ’, ‘মেঘদূত’, ‘শকুন্তলা’, ‘কাদম্বরী চিত্র’ ও ‘কাব্যের উপেক্ষিত’; রামায়ণ আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ এই মহাকাব্যকে ভারতবর্ষের চিরকালের ইতিহাস বলেছেন। বাণভট্টের কাদম্বরী কাব্যকে রবীন্দ্রনাথ একটি চিত্রশালা হিসাবে আখ্যাত করেছেন। “এমন বর্ণসৌন্দর্য বিকাশের ক্ষমতা সংস্কৃত কোনো কবি দেখাইতে পারেন নাই।” ‘কুমারসম্ভব ও শকুন্তলা’, এবং ‘শকুন্তলা’ প্রবন্ধ দুটিতে তুলনামূলক সাহিত্যের একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কালিদাসের ‘শকুন্তলা’ নাটকের সঙ্গে শেক্সপীয়ারের ‘টেম্পেষ্ট’ নাটকের তুলনা প্রসঙ্গে শকুন্তলার সঙ্গে মিরান্দা চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। “শকুন্তলার মতো এমন প্রশান্ত গম্ভীর, এমন সংযত সম্পূর্ণ নাটক শেক্সপীয়ারের নাটকাবলীর মধ্যে একখানাও নাই। টেম্পেষ্টে শক্তি, শকুন্তলায় শান্তি। টেম্পেষ্টে বলের দ্বারা জয়, শকুন্তলায় মঙ্গলের মধ্যে সিদ্ধি। টেম্পেষ্টে অর্ধপথে ছেদ, শকুন্তলায় সম্পূর্ণতায় অবসান।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।