Tides and its causes

Tides and its causes : At regular intervals every day, the water of the sea-ocean swells or swells in one place and in other places the water gradually goes down or decreases. This swelling of the water is called tide and going down is called ebb. Tides and its causes: Differences in tidal currents in different parts of the world, explaining the various causes of tidal origin according to the variation of tidal waves. Airy’s advanced wave theory,] r. A. Harris’s theory of spatial waves explains the origin of tides. is gravitational.

Under the influence of the ball, the sea water swells due to the attraction of the sun and the moon and the tide is created. Since Chad is closer to the earth than the sun, Chad’s attraction is mainly due to the swelling of the sea water and the main tide. (B) The tide is created by the movement of water in the opposite direction from the effect of the centrifugal ball produced by the rotation of the earth. (C) Differences between the depth of the watershed, the slope of the coast and the tidal forces of the Sun and Chad result in the separation of the water table and the formation of tides. Tides are often local or regional.

জোয়ার ভাটার ও তার কারণ (Tides and its causes):

প্রতিদিন নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাগর – মহাসাগরের জল একজায়গায় ফুলে ওঠে বা স্ফীত হয় এবং অন্য জায়গায় জল ধীরে ধীরে নীচে নেমে যায় বা অবনমিত হয়। জলের এই ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নীচে নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।

জোয়ার-ভাটার সৃষ্টির কারণ : পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জোয়ার – ভাটার সময়ের তারতম্য, জোয়ার-ভাটার তরঙ্গের তারতম্য অনুসারে জোয়ার – ভাটার উৎপত্তির নানা কারণ ব্যাখ্যা করা চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে (অভিকেন্দ্র বল) ভারসাম্যতত্ত্ব,

র্জি.বি. আইরি (Airy) – র অগ্রসরমান তরঙ্গ তত্ত্ব , ] আর . এ . হ্যারিস – এর স্থানু তরঙ্গ তত্ত্ব প্রভৃতি বিভিন্ন তত্ত্বে জোয়ার – ভাটার উৎপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে । ( ক ) মহাকর্ষীয় হয় ।বলের প্রভাবে সূর্য ও চাদের আকর্ষণে সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে এবং জোয়ারের সৃষ্টি হয় । সূর্য অপেক্ষা চাদ পৃথিবীর অনেক নিকটে অবস্থিত বলে চাদের আকর্ষণেই প্রধানত সমুজ্রের জল ফুলে ওঠে ও মুখ্য জোয়ার হয় । ( খ ) পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন অপকেন্দ্র বলের প্রভাবে যেখানে মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে জোয়ারের সৃষ্টি হয় , তার বিপরীত দিকে জলের সরণের ফলেও জোয়ারের সৃষ্টি হয় ।

( গ ) জলভাগের গভীরতা , তটভূমির ঢাল এবং সূর্য ও চাদের জোয়ারী বল প্রভৃতির পার্থক্যের ফলে জলতলের প্রভেদ ঘটে এবং জোয়ার – ভাটার সৃষ্টি হয় । জোয়ার – ভাটার সৃষ্টির বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই তাই স্থানীয় বা আঞ্চলিক ।

জোয়ার – ভাটার সৃষ্টি ০ মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ার : মহাকর্ষীয় বল ও পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন অপকেন্দ্র বলের প্রভাবে সাধারণত কোনাে স্থানে জোয়ারের সৃষ্টি হয় । চাঁদ পৃথিবীর অনেক নিকটে অবস্থিত বলে প্রধানত চাদের আকর্ষণেই পৃথিবীর যে অংশ চাদের সামনে আসে সেই অংশের জলভাগ ফুলে উঠে মুখ্য জোয়ার এবং এর বিপরীত প্রান্তে চাদের মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব কম বলে অপকেন্দ্র বলের প্রভাবে গৌণ জোয়ারের সৃষ্টি হয় । এ ভাটা : মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের মধ্যবর্তী অংশে জলতল কিছুটা নীচে নেমে যায় । এই অবস্থাকে ভাটা বলা হয় । সাধারণত মুখ্য জোয়ার ও গৌণ জোয়ারের সমকোণ অঞ্চলে ভাটা সৃষ্টি হয় ।

পৃথিবীর প্রতিটি প্যানে দিনে দুবার জোয়ার ও দুর্বার ভাটা নিরক্ষরেখা দ্বিতীয় দিন হয় : যে স্থানে গৌণ জোয়ার হয় চাদের অবস্থান পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সেই চাদের অবস্থান থানটি 12 ঘণ্টা 26 মিনিট পরে চাদের সামনে আসে এবং সেখানে তখন মুখ্য জোয়ার হয় । অপরদিকে 2.2.1 : প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না মুখ্য জোয়ারের স্থানটি তখন বিপরীত প্রান্তে চলে যায় বলে সেখানে হয় গৌণ জোয়ার । তাই পৃথিবীর একবার আবর্তনে [ 24 ঘণ্টা ] পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রতিটি স্থান একবার চাদের সামনে আসে বলে প্রতিটি স্থানে দিনে দুবার জোয়ার হয় – একবার মুখ্য জোয়ার ও একবার গৌণ জোয়ার । একইভাবে সমকোণে অবস্থিত স্থানগুলিতে দুবার ভাটা হয় ।

পৃথিবীর কোনাে অংশেই প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না । 184 0 ডু পরিচিতি পৃথিবীর কোনো অংশেই প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না । এর কারণ হল পৃথিবী যেমন নিজের মেরুরেখার চারদিকে [ 360 ° ] 24 ঘণ্টায় একবার আবর্তন করে চাদও তেমনই 27 দিনে পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসে । সুতরাং , 24 ঘণ্টায় চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে 360 °° 27 = প্রায় 13 ° পথ অতিক্রম করে বা 24 ঘণ্টায় পৃথিবীর একবার আবর্তনে চঁাদ প্রায় 13 ° পথ এগিয়ে যায় ।

এই 13 ° পথ অতিক্রম করতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় 52 মিনিট [ 1 ° পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে 4 মিনিট ] । অর্থাৎ যে দ্রাঘিমারেখাটি চাদের সামনে আছে , 24 ঘণ্টা পরে 360 ° অতিক্রম করে সেই দ্রাঘিমারেখাটি তার পূর্ব অবস্থানে ফিরে আসার মধ্যে চাঁদ 13 ° পথ এগিয়ে যায় । ওই দ্রাঘিমারেখাটিকে পুনরায় চাদের সামনে আসার জন্য তাই আরও 13 ° বেশি আবর্তন করতে হয় । এর জন্য ওই দ্রাঘিমারেখার অতিরিক্ত সময় লাগে প্রায় 52 মিনিট । তাই , পৃথিবীর কোনাে নির্দিষ্ট স্থানে প্রত্যেক মুখ্য বা গৌণ জোয়ারের পরবর্তী মুখ্য বা গৌণ জোয়ার আরও 52 মিনিট পরে অনুষ্ঠিত হয় ।

কোনাে স্থানে এই মুহূর্তে মুখ্য জোয়ার হলে * পরবর্তী মুখ্য জোয়ার হবে 24 ঘণ্টা 52 মিনিট পরে * পরবর্তী গৌণ জোয়ার হবে 12 ঘণ্টা 26 মিনিট পরে * পরবর্তী ভাটা হবে 6 ঘণ্টা 13 মিনিট পরে । এ ভরা জোয়ার বা তেজকটাল : পৃথিবী , চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করলে । প্রবল জোয়ার ও প্রবল ভাটার সৃষ্টি হয় । এরূপ অবস্থানকে সিজিগি বলে চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে জোয়ার প্রবল হয় বলে এরপ জোয়ারকে ভরা জোয়ার বা তেজ কটাল বলে ।

প্রতি 15 দিন অন্তর ভরা জোয়ার হয়। 27 দিনে পৃথিবীর চারদিকে চাদের একবার পরিক্রমণকে বলা হয় চান্দ্রমাস । এই চান্দ্রমাসের এক একটি দিনকে বলা হয় তিথি । তিথি অনুযায়ী নিজের কক্ষে চাদের স্থান পরিবর্তন ঘটে । ভরা জোয়ার বা তেজ কটালের ওপর চঁাদের এই স্থান পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে ।

অমাবস্যা তিথি : অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাদ একই সরলরেখায় অবস্থান । করে ( সংযােগ অবস্থান ) । এর ফলে চাদ ও সূর্যের মিলিত মহাকর্ষীয় বল পৃথিবীর একই স্থানে কার্যকরী হয় এবং সাগরের জলরাশির অত্যধিক স্ফীতি ঘটে । এই জন্য অমাবস্যা তিথিতে ভরা জোয়ার হয় । অমাবস্যার জোয়ার পূর্ণিমার জোয়ারের চেয়ে অনেক বেশি প্রবল হয় , কারণ একই স্থানে মুখ্য চান্দ্র ও সৌর জোয়ার ও বিপরীত অবস্থানে গৌণ চান্দ্র ও সৌর জোয়ার হয় ।

পূর্ণিমা তিথি : পূর্ণিমা তিথিতে চাদ ও সূর্যের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান । করে ( প্রতিযােগ অবস্থান ) । চাদের সামনে অবস্থিত পৃথিবীর জলভাগ চাদের আকর্ষণে স্ফীত হয়ে মুখ্য চান্দ্র জোয়ারের সৃষ্টি করে । ওই একই স্থানে সূর্যের মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে গৌণ সৌর জোয়ারের সৃষ্টি হয় । আবার সূর্যের সামনে অবস্থিত পৃথিবীর জলভাগ সূর্যের আকর্ষণে স্ফীত হয়ে মুখ্য সৌর জোয়ারের সৃষ্টি করে । ওই একই স্থানে চাদের মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে গৌণ চান্দ্র জোয়ারের সৃষ্টি হয় । এইভাবে চঁাদ ও সূর্যের মিলিত প্রভাবে পূর্ণিমা তিথিতে ভরা জোয়ার হয় ।

আরও পডুনঃ বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রস্রোত

Leave a comment