The best Climate of India

Climate of India in different parts of India due to the diversity of the natural environment. Diversity can be noticed. The east-west position of the Himalayas in the north, the peninsular structure of South India, the extension of the Tropic of Cancer through almost the middle of India, variations in regional topography, north-south extension of the Western Ghats and Eastern Ghats, changes in air pressure zones affect India’s climate diversity.

Climate of India According to India, it is very difficult to divide a huge country into different climatic zones.Geographers like Koppen, Thorntheit, Kendu, Stamp, Miller, etc. have divided India into different climatic zones from different perspectives. Of these, the classification introduced by Koppen is more reasonable. The climates that Koppen has divided India into on the basis of natural vegetation are: (a) Tropical Humid Monsoon Climate: Such climates are found in the coastal plains of Konkan and Malabar. [i] The average annual rainfall in this region is more than 300 cm. [i] It rains for about 7-8 months. [iii] Uyata is equivalent.

ভারতের জলবায়ু(Climate of India)

প্রাকৃতিক পরিবেশের নানাবিধ বৈচিত্র্যের কারণে ভারতের বিভিন্ন অংশে জলবায়ুর বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় । উত্তরে হিমালয় পর্বতের পূর্ব – পশ্চিমে অবস্থান , দক্ষিণ ভারতের উপদ্বীপীয় গঠন , ভারতের প্রায় মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখার বিস্তৃতি , আঞ্চলিক ভূপ্রকৃতির তারতম্য , পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতের উত্তর – দক্ষিণে বিস্তৃতি , বায়ুচাপ বলয়ের পরিবর্তন প্রভৃতি ভারতের জলবায়ুর বৈচিত্র্যে প্রভাব বিস্তার করে । ভারতের জলবায়ু অঞ্চল ভারতের মতাে বিশাল দেশকে বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে বিভক্ত করা খুবই কঠিন ব্যাপার ।

কোপেন , থর্নথয়েট , কেনডু , স্ট্যাম্প , মিলার প্রভৃতি ভূগােলবিদ ভারতকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন জলবায়ু অঞলে বিভক্ত করেছেন । এঁদের মধ্যে কোপেন প্রবর্তিত শ্রেণিবিভাগই বেশি যুক্তিযুক্ত । কোপেন স্বাভাবিক উদ্ভিদকে ভিত্তি করে ভারতকে যে যে জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করেছেন তা হল—

( ক ) ক্রান্তীয় অতি আর্দ্র মৌসুমি জলবায়ুঅল : কোঙ্কন ও মালাবার উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চলে এরূপ জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] এই অঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতে বু পরিমাণ 300 cm- র বেশি । [ i ] প্রায় 7-8 মাস বৃষ্টিপাত হয় । [ iii ] উয়তা সমভাবাপন্ন ।[ iv ] স্বল্পস্থায়ী শুষ্ক ঋতুর জন্য চিরহরিৎ বৃক্ষের প্রাধান্য দেখা যায় ।

( খ ) ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু অঞল : গুজরাট , মহারাষ্ট্র , মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের দক্ষিণাংশ ; ওড়িশা , অপ্রদেশ , তামিলনাড়ুর পশ্চিমাংশ ; ঝাড়খণ্ড , পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ – পশ্চিম অংশ ; কর্নাটকের কিছু কিছু অংশে এই জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] সমস্ত অঞ্চলে শীত – গ্রীষ্মের উন্নতার বেশ পার্থক্য দেখা যায় । [ i ] গ্রীষ্মকাল বেশ উয় । [ i ] বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের ( 75-125 cm ) অধিকাংশই । মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের দ্বারা হয়ে থাকে । [ iv ] এই অঞ্চলে পর্ণমােচী ও সাভানা জাতীয় উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায় ।

( গ ) ক্রান্তীয় শুষ্ক গ্রীষ্ম ও আর্দ্র শীতকাল অঞ্চল : করমণ্ডল উপকূলের । দক্ষিণ অংশে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্যে এই জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] বর্ষাকালে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে স্বল্প বৃষ্টিপাত হলেও শীতকালে যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় । [ i ] বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 75-100 cm । [ iii ] এই অঞ্চলে ক্রান্তীয় শুষ্ক চিরহরিৎ বৃক্ষের প্রাধান্য দেখা যায় ।

( ঘ ) প্রায় শুষ্ক স্তেপ জলবায়ু অঞল : রাজস্থানের রােহি ও বাগর অঞ্চল , পাঞ্জাব ও হরিয়ানার দক্ষিণাংশ , মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের বৃষ্টিছায়া । অঞ্চলে এরূপ জলবায়ু দেখা যায় । [i] গ্রীষ্মকাল প্রায় শুষ্ক , শীতকালে বৃষ্টিপাত হয় না । [ ii ] বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 10-25 cm । [ iii ] কাটাযুক্ত ঝােপঝাড় ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায় ।

( ঙ ) উম্ন মরু জলবায়ু অঞল : মরুথলী অঞ্চলে এরূপ জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] অধিক উন্নতা , অতি স্বল্প বৃষ্টিপাত ( 10 cm- র কম ) , দিন – রাত্রির উন্নতার অধিক পার্থক্য এই জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য । [ i ] স্বল্প পরিমাণে কাটাযুক্ত ঝােপঝাড় এই অঞ্চলে জন্মাতে দেখা যায় ।

( চ ) উত্তর – পূর্বে শীতল আর্দ্র জলবায়ু অঞল : অসমের পূর্বাংশ , অরুণাচল প্রদেশে এরূপ জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] গ্রীষ্মকাল স্বল্পস্থায়ী , শীতকাল আর্দ্র । [ ii ] বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 300 cm- র অধিক । [ iii ] আর্দ্র চিরহরিৎ ও নাতিশীতােয় উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায় ।

(ছ ) আর্দ্র উপক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল : গঙ্গা ও শতদ্রু সমভূমি , ব্ৰত্মপুত্র উপত্যকা ও মালব মালভূমির কিছু কিছু অংশে এরূপ জলবায়ু দেখা যায় । [ i ] বর্ষাকালেই অধিক বৃষ্টিপাত [ 10 ) -200 cm ] হয় , শীতকাল অপেক্ষাকৃত শুষ্ক । [ ii ] আর্দ্র ও শুষ্ক পর্ণমােচী এবং চিরহরিৎ ও পর্ণমােচী বৃক্ষের মিশ্র বনভূমি এই অঞ্চলে দেখা যায় ।

( জ ) পার্বত্য জলবায়ু অঞ্চল : কাশ্মীর ও লাডাকের অধিকাংশ অংশ এই জলবায়ুর অন্তর্গত । [ i ] শীতকালে তুষারপাত ও শীতল গ্রীষ্ম এই জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য । [ i ] হিমরেখার নীচে তৃণভূমি ও তার নীচে [iii] সরলবর্গীয় অরণ্য দেখা যায় ।

আরও পডুনঃ ভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প সম্পর্কে

Leave a comment