Srimadbhagavadgita is a famous part of the Bhishmaparva of the Mahabharata. This Srimadbhagavadgita is the 25th to 42nd chapter of the Bhishmaparva composed by Maharshi Byasadeva. It has 26 chapters. The number of verses is approximately 650. In the battle of Kurukshetra, Lord Krishna was the charioteer of Arjuna, the great Pandava. On the eve of this crusade, Arjuna became depressed. He is not willing to fight. Relatives – do not want to get the throne by killing relatives. Then Lord Krishna gave some advice to Arjuna. This advice is the Gita. It is now considered a separate text. This universal book is a very sacred scripture of the Hindus. It contains all the philosophical arguments.
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (Srimadbhagavadgita) :
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হল মহাভারতের ভীষ্মপর্বের একটি বিখ্যাত অংশ। মহর্ষি ব্যাসদেব যে ভীষ্মপর্ব রচনা করেছেন তার ২৫ থেকে ৪২ তম অধ্যায়ই হল এই গীতা। এতে ২৮ টি অধ্যায় আছে। শ্লোকসংখ্যা আনুমানিক ৭৫০। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবশ্রেষ্ঠ অর্জুনের সারথি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।এই ধর্মযুদ্ধের প্রাক্কালে অর্জুন বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি যুদ্ধ করতে রাজী নন। আত্মীয়-স্বজনকে বধ করে সিংহাসন লাভ করতে চান না। তখন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বেশ কিছু উপদেশ দেন। এই উপদেশ বাণীই হল গীতা। এটি এখন পৃথক একটি গ্রন্থে পরিগণিত হয়েছে। বিশ্ববন্দিত এই গ্রন্থটি হিন্দুদের অতি পবিত্র একটি ধর্মগ্রন্থ। এটিতে দর্শনের সমস্ত আলােচনাই আছে। সর্ব-ধর্ম-সমন্বয় দেখানাে হয়েছে এই গ্রন্থে।
মােক্ষলাভের পথ হল তিনটি-কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি। এই তিনটি যােগের সমন্বয় দেখানাে হয়েছে এখানে। গীতাকে বলা হয় উপনিষদ এবং যােগশাস্ত্র। দ্বিতীয় অধ্যায়ে কর্মযােগে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন—
“কর্মণ্যেবাধিকারন্তে মা ফলেষু কদাচন।”
অর্থাৎ কর্মেই তােমার অধিকার,ফলে নয়। নিষ্কাম কর্ম করে যেতে হবে, অভিমান পরিত্যাগ করতে হবে এবং সমস্ত কর্ম ঈশ্বরে সমর্পণ করতে হবে। এটিই কর্মযােগীর লক্ষণ। জ্ঞানের দ্বারাও মুক্তির কথা বলা হয়েছে চতুর্থ অধ্যায়ে। কর্মত্যাগ করা,আসক্তি দূর করা, চিত্তকে সংযত করা,ইন্দ্রিয় সমূহকে জয় করা-এগুলি সবই জ্ঞানযােগীর লক্ষণ। আর সব কিছু কর্ম ও জ্ঞান ঈশ্বরে সমর্পণ করলে মনে আসে ভক্তি। গীতার সারকথা হল—
“সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।”
শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছেন আর অর্জুন ভয়ে ভীত হয়ে তাকে বারংবার প্রণাম জানাচ্ছেন। এখানে শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরম ব্রয়, উপনিষদে যিনি এক ও অদ্বিতীয়, সমস্ত কিছুর মূলীভূত কারণ। গীতাপাঠ করলে ও গীতার মর্ম বুঝতে পারলে অন্য শাস্ত্র পাঠের প্রয়ােজন নাই। তাই বলা হয়েছে—
“গীতা সুগীতা কর্তব্যা কিমন্যৈঃ শাস্ত্রবিস্তরৈঃ।”
আরও একটি সুপ্রসিদ্ধ শ্লোক হল—
“সর্বোপনিষদো গাবাে দোগ্ধা গােপালনন্দনঃ। পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুর্থং গীতামৃতং মহৎ।।”
গীতা অনেকেই শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মতােই নিত্যপাঠ করেন। শ্রাদ্ধের সময় গীতাপাঠ অবশ্যকর্তব্য বলে হিন্দুরা মনে করেন। ধর্মানুষ্ঠানে ও শ্রাদ্ধবাসরে গীতাদান করা হয়। গীতা বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। পৃথিবীর সর্বত্র গীতার সম্মান ছড়িয়ে আছে। শঙ্করাচার্য, রামানুজ প্রভৃতি দার্শনিকগণ সংস্কৃত ভাষায় গীতার ভাষ্য রচনা করেছেন। আধুনিক যুগেও শ্রী অরবিন্দ, মহামান্য তিলক, মহাত্মা গান্ধী, রাধাকৃষ্ণ প্রভৃতি অনেকেই গীতার ব্যাখ্যা করেছেন এবং মর্মবাণী প্রচার করেছেন। গীতার অনুকরণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভক্তরা কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেমন-রামগীতা, শিবগীতা, গুরুগীতা, নারদগীতা, কপিলগীতা, শক্তিগীতা প্রভৃতি।
আরও পডুনঃ কথাসরিৎসাগর কাব্যগ্রন্থ