টীকা- ভারতের রাজ্যসভার গঠন | Composition of the Rajya Sabha of India

ভারতের রাজ্যসভার গঠন | Composition of the Rajya Sabha of India

উত্তর:- রাজ্যসভা অনধিক ২৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় (৮০ ধারা)। এদের মধ্যে ১২ জন সদস্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হন। সাহিত্য, বিজ্ঞান, চারুকলা, সমাজসেবা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি এই ১২ জন সদস্যকে মনোনীত করেন। তবে সব সময়ই ১২ জন সদস্যকে মনোনীত করা হয় বা করতে হয় তা নয়। ১২ জনের কম সদস্যকেও রাষ্ট্রপতি মনোনীত করতে পারেন।

সাধারণতঃ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি এই মনোনয়ন কার্য সম্পাদন করেন। বাকি অনধিক ২৩৮ জন সদস্য ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচন পরোক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে রাজ্যসভার মোট সদস্যসংখ্যা হল ২৪৫। অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিগণ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন। এক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের দ্বারা সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি অনুসারে এই নির্বাচন সম্পাদিত হয় [৮০ (৪) ধারা]। তাই, মার্কিন সংবিধানের মতো, এখানে অঙ্গরাজ্যের সম প্রতিনিধিত্ব ও প্রত্যক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নেই।

■ টীকা- লোকসভার স্পীকার (Speaker of Lok Sabha)

■ উত্তর:- নির্বাচনের পর নবগঠিত লোকসভার সদস্যগণ নিজেদের ভিতর থেকে একজনকে অধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত করেন (৯৩ ধারা)। স্পীকারের নির্বাচনকে সর্বসম্মত করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিরোধী দলের সঙ্গে পরামর্শ করার পর স্পীকার পদের প্রার্থী মনোনীত করে। কিন্তু এই ব্যবস্থা ইংল্যাণ্ডে যেমন সফল হয়েছে, ভারতে তেমন হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মনোনীত প্রার্থী অধিকাংশ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে সহজেই স্পীকার পদে নির্বাচিত হন।

সাধারণতঃ লোকসভার আয়ুষ্কাল এবং স্পীকারের কার্যকাল সমান, অর্থাৎ পাঁচ বছর। স্পীকার নবগঠিত লোকসভার প্রথম অধিবেশনের আগের মুহূর্ত অবধি নিজের পদে বহাল থাকেন। লোকসভার সদস্যগণ স্পীকারকে পদচ্যুত করতে পারেন। স্পীকারকে অপসারণের পদ্ধতি সম্পর্কে সংবিধানে উল্লেখ আছে। স্পীকারের যাবতীয় ক্ষমতার উৎস হল ভারতের সংবিধান এবং লোকসভার কার্যবিধি। তা ছাড়া কিছু অলিখিত ক্ষমতাও স্পীকার ভোগ করে থাকেন।
স্পীকারের নিম্নলিখিত ক্ষমতা ও কার্যাবলী বর্তমান:-

● (১) লোকসভার বিতর্ক ও আলোচনা নিয়ন্ত্রণ;

● (২) সভার শৃঙ্খলা ও মর্যাদা সংরক্ষণ;

● (৩) অর্থবিল সংক্রান্ত ক্ষমতা;

● (৪) যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন,

● (৫) রাষ্ট্রপতি ও পার্লামেন্টের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করেন;

● (৬) সদস্যদের অধিকার ও অব্যাহতি সংরক্ষণ প্রভৃতি। ভারতের সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় জনপ্রিয় কক্ষের সভাপতি হলেন স্পীকার। এ দিক থেকে তাঁর পদ অত্যন্ত মর্যাদাযুক্ত এবং তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।