অধ্যাপক হোমি জাহাঙ্গির ভাবা | Biography of Homi Jahangi Bhaba
■ অধ্যাপক হোমি জাহাঙ্গির ভাবা (Biography of Homi Jahangi Bhaba-1909-1966)
■ জন্ম:- 1909 খ্রিস্টাব্দের 30 শে অক্টোবর হোমি জাহাঙ্গির ভাবা মুম্বাই -এ এক সম্ভ্রান্ত পারসি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
■ শিক্ষাজীবন:- মুম্বাইয়ে ক্যাথিড্রাল স্কুল থেকে সিনিয়ার কেমব্রিজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মুম্বাই – এর রয়্যাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সে দুবছর অধ্যয়ন করেন। মাত্র 17 বছর বয়সে তিনি উচ্চ-শিক্ষালাভের জন্য বিলেত যান। সেখানকার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে ‘ ট্রাইপস ’ ডিগ্রি লাভ করেন।
■ কর্মজীবন, আবিষ্কার ও সম্মান লাভ:- বিজ্ঞানী ভাবা 1932 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1934 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জুরিখে বিজ্ঞানী পাউলির সঙ্গে এবং রোমে বিজ্ঞানী ফার্মির সঙ্গে কাজ করেন। তিনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী নীলস বোরের অধীনে গবেষণা শুরু করেন এবং ‘আইজ্যাক নিউটন স্টুডেন্টশিপ’, ‘রয়্যাল একজিবিশন’ স্কলারশিপ পান।
1937 খ্রিস্টাব্দে হোমি জাহাঙ্গির ভাবা মহাজাগতিক রশ্মি সম্পর্কিত বিখ্যাত ‘ক্যাসকেড তত্ত্ব’ প্রকাশ করেন। মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘আডমস পুরষ্কার’ লাভ করেন। 1940 খ্রিস্টাব্দে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বাঙ্গালোরে ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। 1945 খ্রিস্টাব্দে তিনি টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ -এর অধ্যক্ষ হন। 1958 খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার যখন পারমাণবিক শক্তি কমিশন গঠন করলেন তখন বিজ্ঞানী ভাবা ওই কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। 1954 খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার হোমি জাহাঙ্গির ভাবাকে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
■ মৃত্যু:- 1966 খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে এক বিমান দুর্ঘটনায় এই মহান বিজ্ঞানীর জীবনাবসান হয়। এই অবিস্মরণীয় বিজ্ঞানীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে ট্রম্বেতে ভারতের বৃহত্তম পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের নাম রাখা হয়েছে ‘ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’।