সংক্ষিপ্ত টীকা- পল্লীসমাজ উপন্যাস (Pallisamaja Upanyasa), চরিত্রহীন উপন্যাস

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি পল্লীসমাজ উপন্যাস (Pallisamaja Upanyasa), চরিত্রহীন উপন্যাস. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে পল্লীসমাজ উপন্যাস (Pallisamaja Upanyasa), চরিত্রহীন উপন্যাস

Ajjkal

পল্লীসমাজ উপন্যাস (Pallisamaja Upanyasa), চরিত্রহীন উপন্যাস

■ পল্লীসমাজ উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘পল্লীসমাজ’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা গ্রামীণ পটভূমিকায় লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়। পল্লীসমাজ উপন্যাসে বাংলার পল্লীসমাজের পটভূমিতে রমেশ ও রমার প্রেম কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এখানে শরৎচন্দ্র পল্লীর দ্বন্দ্বমুখর সমাজের এক বাস্তব চিত্র অঙ্কন করেছেন। রমেশ, রমা, বিশ্বেশ্বরী, বেণী ঘোষাল প্রমুখ এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।

শরৎচন্দ্রের ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে বাংলার কোন পল্লীগ্রামের পটভূমিতে রমেশ নামে এক আদর্শবাদী যুবক ও বিধবা রমার প্রেম সম্পর্ক। রমেশ পিতৃশ্রাদ্ধ উপলক্ষে গ্রামে এসে যে সকল সামাজিক সমস্যার মধ্যে পড়েছিল, তার নিখুঁত বর্ণনা আছে এই উপন্যাসে – “কৰ্ম্মবাড়ি। মধ্যে শুধু দু’টা দিন বাকি। বৃহস্পতিবার রমেশের পিতৃশ্রাদ্ধ। দুই একজন করিয়া ভিন্ন গ্রামের মুরুব্বিরা উপস্থিত হইতেছেন ……. কলিকাতা হইতে ময়রা আসিয়াছিল তাহারা প্রাঙ্গণের একধারে ভিয়ান চড়াইয়াছে সেদিকে পাড়ার কতকগুলো ছেলেমেয়ে ভিড় করিয়া দাঁড়াইয়াছে; কাঙালীদের বস্ত্র দেওয়া হইবে – চণ্ডীমণ্ডপের ও ধারের বারান্দায় অনুগত ভৈরব আচার্য থান ফাড়িয়া পাট করিয়া গাদা করিতেছিল।” জ্যাঠাইমা বিশ্বেশ্বরীর মুখে শোনা যায় পল্লী সমাজের প্রকৃতরূপ। “এ তোদের শহর নয়।

পাড়া গায়ে জাত ছোট কি বড়, সেজন্য কারো একটুকুও মাথা ব্যথা নেই। ছোট ভাই যেমন ছোট বলে বড় ভাইকে হিংসা করেনা, দু এক বছর পরে জন্মাবার জন্যে যেমন তার মনে এতটুকু ক্ষোভ নেই, পাড়াগায়েও ঠিক তেমনি। এখানে কায়েত বামুন হয়নি বলে একটুও দুঃখ করে না, কৈবত্তও কায়েতের সমান হবার জন্যে একটুও চেষ্টা করে না। বড় ভাইয়ে একটা প্রণাম করতে ছোট ভাই এর যেমন লজ্জায় মাথা কাটা যায় না, তেমনি কায়েতও বামুনের একটু খালি পায়ের ধুলো নিতে একটুও কুণ্ঠিত হয় না।”

■ চরিত্রহীন উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘চরিত্রহীন’ শরৎচন্দ্রের লেখা বিখ্যাত উপন্যাস। এটি ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধে যাদের চরিত্রহীন মনে করা হয়, তারা যে চরিত্র গৌরবে অনেক উজ্জ্বল, তা এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে। কিরণময়ী, সাবিত্রী, সতীশ, উপেন্দ্র, দিবাকর প্রমুখ এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। শরৎচন্দ্রের ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসে স্বামী স্ত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণীর নরনারীর সম্পর্কের জটিলতা লেখক সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন। এই উপন্যাসে লেখক একটি প্রশ্ন তুলেছেন – ‘চরিত্রহীন’ হিসাবে সমাজ যাকে ছাপ মেরে দেয়, সত্যিই কি সে চরিত্রহীন ? উপেন্দ্র, কিরণময়ী, সাবিত্রী সতীশ, দিবাকর প্রকৃতি চরিত্র অনেক বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র।

রোগমুক্তির পর সাবিত্রীর বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে – “কেরাসিনের উজ্বল আলোক পুরো ভাগে লইয়া মোমের উপর সাবিত্রী পান সাজিতে বসিয়াছিল। মাথায় কাপড় নাই, আর্দ্র বেশ ভার মস্তক পিঠ ব্যাপিয়া মেঝের উপর ছড়াইয়া পড়িয়াছে। দু একটা চূর্ণ কুন্তল আঁচলের কালো পাড়ের সহিত মিশিয়া কাঁধ হইতে চুলের উপর ঝুলিয়া রহিয়াছে। নারীর রোগক্লিষ্ট শীর্ণ পাণ্ডুর মুখের যে একটি নিজস্ব গোপন মাধুর্য আছে তাহাই এই কৃসশরীর সদ্যঃস্নাত মুখের উপর বিরাজ করিতেছিল।”

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।