সংক্ষিপ্ত টীকা- শ্রীকান্ত উপন্যাস (Srikanth Novel), অভাগীর স্বর্গ ছোটগল্প

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি শ্রীকান্ত উপন্যাস (Srikanth Novel), অভাগীর স্বর্গ ছোটগল্প . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে শ্রীকান্ত উপন্যাস (Srikanth Novel), অভাগীর স্বর্গ ছোটগল্প

Ajjkal

শ্রীকান্ত উপন্যাস (Srikanth Novel), অভাগীর স্বর্গ ছোটগল্প

■ শ্রীকান্ত উপন্যাস :

উত্তর:: ‘শ্রীকান্ত’ শরৎচন্দ্রের লেখা আত্মজীবনীমূলক বিখ্যাত উপন্যাস। এর ১ ম পর্ব ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে আরও তিনটি পর্ব প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষ্মীর প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। শ্রীকান্তের কাহিনীর সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে ইন্দ্রনাথ, অন্নদা দিদি, গহর, কমললতা প্রমুখর কাহিনী। এরাই এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসটি শরৎচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসমূহের অন্যতম।

‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি রচিত হয়েছে শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষ্মীর প্রেম সম্পর্কের জটিলতাকেকেন্দ্র করে। শ্রীকান্ত যেন অনেকাংশে লেখকের আত্মছায়া। শ্রীকান্ত, রাজলক্ষ্মী, অন্নদাদিদি, শাহজী, নতুনদা, অভয়া, গোফুর প্রভৃতি চরিত্রের সমাবেশে শ্রীকান্ত উপন্যাসটি শরৎচন্দ্রের অসামান্য সৃষ্টি। শ্রীকান্ত নিজের সম্পর্কে বলেছে – “আমার এই ভবঘুরে জীবনের অপরাহ্ন বেলায় দাঁড়াইয়া ইহারই একটি সন্ধ্যায় বলিতে বসিয়া কত কথাই না মনে পড়িতেছে।”

এই উপন্যাসের অসামান্য চরিত্র অন্নদাদিদির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। “যেন ভস্মাচ্ছাদিত বহ্নি ! যেন যুগ যুগান্তব্যাপী কঠোর তপস্যা সাঙ্গ করিয়া তিনি আসন হইতে এইমাত্র উঠিয়া আসিলেন। বাঁ কাঁকালে আঁটিবাঁধা কতকগুলো শুকনো কাঠ এবং ডানহাতে ফুলের সাজির মতো একখানা ডালার মধ্যে কতকগুলো শাকসব্জি। পরনে হিন্দুস্থানী মুসলমানীর মতো জামা কাপড়। ”ইন্দ্রনাথ সম্বন্ধে শ্রীকান্তের অনুভূতি “ওই লোকটি কি ! মানুষ ? দেবতা ? পিশাচ ? কেও ? কার সঙ্গে এই বনের মধ্যে ঘুরিতেছি ? যদি মানুষই হয় তবে ভয় বলিয়া কোন বস্তু যে বিশ্বসংসারে আছে, সে কথা কি ও জানে না!” শ্রীকান্ত রাজলক্ষ্মীর প্রেমের পরিচয় পেয়ে তার পাটনার বাড়ী ত্যাগ করে যাবার সময় বলেছে – “বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না – ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে। ছোটখাটো প্রেমের সাধ্যও ছিল না— এই সুখৈশ্বর্য পরিপূর্ণ স্নেহস্বর্গ হইতে মঙ্গলের জন্য কল্যাণের জন্য আমাকে আজ এক পদও নড়াইতে পারিত !”

■ অভাগীর স্বর্গ ছোটগল্প:-

উত্তর:: শরৎচন্দ্রের প্রতিভা ঔপন্যাসিকের। ছোটগল্প তিনি বেশি লেখেন নি। তার ছোটগল্পগুলির মধ্যে উল্লেখ্য : ‘অভাগীর স্বর্গ’, ‘মহেশ’, ‘বোঝা’, ‘অনুপমার প্রেম’ প্রভৃতি। ‘বড়দিদি’, ‘মেজদিদি’, ‘বিন্দুর ছেলে’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘মন্দির’ও ছোটগল্প; তবে এগুলি উপন্যাসের লক্ষণযুক্ত হওয়ায় সঠিকভাবে ছোটগল্প বলা যায় না। ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অভাগী নামে একটি নিম্নবর্গের দুখিনী স্বামী পরিত্যক্তা বধূর করুণ জীবনকাহিনী বর্ণিত। উচ্চবর্ণের এক সধবা নারীর মৃত্যুদৃশ্য দেখে তার মধ্যেও স্বর্গে যাবার বাসনা হয়েছিল এবং তার ফলে তার অকালমৃত্যু এবং কীভাবে তার শেষকৃত্য হল, তা এই গল্পের বর্ণনার বিষয়। ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে শরৎচন্দ্রের সাধারণ মানুষের প্রতি গভীর দরদী মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। শরৎচন্দ্র ছিলেন মানবিক সাহিত্যিক। গ্রাম বাংলায় জাতিবৈষম্য কী ভয়াবহ তা তিনি এই গল্পে। দেখিয়েছেন। তথাকথিত ছোটো জাতের উপর উঁচু জাতের যে কী ভয়াবহ অত্যাচার, তা তিনি গভীর বাস্তবতায় প্রকাশ করেছেন। এই গল্পে তার অনুপম ভাষা – ভঙ্গীও লক্ষণীয়।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।