সংক্ষিপ্ত টীকা- রাজসিংহ উপন্যাস, কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাস | Rajasingh Novel and Krishnakanth’s Will Novel

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Rajasingh Novel and Krishnakanth’s Will Novel. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে রাজসিংহ উপন্যাস, কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাস | Rajasingh Novel and Krishnakanth’s Will Novel

Ajjkal

রাজসিংহ উপন্যাস, কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাস | Rajasingh Novel and Krishnakanth’s Will Novel

■ রাজসিংহ উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘রাজসিংহ’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে চঞ্চল কুমারীকে উপলক্ষ্য করে মেবারের রাণা রাজসিংহের সঙ্গে মোগল বাদশা আওরঙ্গজেবের যুদ্ধকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই উপন্যাসটি একমাত্র যথার্থ ঐতিহাসিক উপন্যাস। রাজসিংহ, আওরঙ্গজেব, চঞ্চলকুমারী, মবারক, জেবউন্নিসা, নির্মলকুমারী প্রমুখ এই উপন্যাসের বিশিষ্ট চরিত্র। “বঙ্কিমচন্দ্রের রাজসিংহই (১৮৮২খ্রীস্টাব্দে) একমাত্র বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস, কারণ এর কাহিনী ও প্রধান চরিত্রের সবগুলিই ঐতিহাসিক এবং সুপরিচিত ব্যক্তি।

রাজস্থানের চঞ্চলকুমারীকে ঔরঙ্গজেবের বিবাহের ইচ্ছা এবং তা থেকে রাণা রাজসিংহের সঙ্গে ঔরঙ্গজেবের বিরোধ, সেই বিরোধে রাজসিংহের জয়লাভ ও চঞ্চলকুমারীর সঙ্গে বিবাহ — এই হল মূল ঘটনা, এবং এ ঘটনা ইতিহাস অনুমোদিত।” রাজসিংহের চিত্র দেখে রাজকন্যা চঞ্চলকুমারীর মধ্যে যে অনুরাগ জন্মেছিল, সুন্দরভাবে তা বর্ণিত— “চিত্র হাতে লইয়া রাজকুমারী অনেক্ষণ ধরিয়া তাহা নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন, দেখিতে দেখিতে তাহার মুখ প্রফুল্ল হইল; লোচন বিস্ফারিত হইল। এক জন সখী তাহার ভাব দেখিয়া চিত্র দেখিতে চাহিল। রামকুমারী তাহার হস্তে চিত্ৰ দিয়া বলিলেন, “দেখ! দেখিবার যোগ্য বটে।” জেবউন্নিসা অনুতাপের আগুনে দগ্ধ হয়ে মবারককে চোখের জলে গ্রহণ করেছিল— “জেবউন্নিসা পা ছাড়িল না। তাহার চক্ষুর জলে মবারকের পা ভিজিয়া গেল। মবারক তাহার হাত ধরিয়া উঠাইতে গেল। কিন্তু জেবউন্নিসা উঠিল না। বলিল, “আমায় ক্ষমা কর, আমায় ক্ষমা কর। মবারক বলিল, “তোমায় ক্ষমা করিয়াছি। না করিলে তোমার কাছে আসিতাম না”

■ কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাস:-

উত্তর:: ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা বিখ্যাত সামাজিক উপন্যাস। ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়। কৃষ্ণকান্ত নামক একজন জমিদারের উইলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল, তা এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু। এর মধ্যে রোহিণীর প্রতি গোবিন্দলালের আকর্ষণ ও তার পরিণাম বর্ণিত। কৃষ্ণকান্ত, গোবিন্দলাল, রোহিণী, ভ্রমর প্রমুখ এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। “কৃষ্ণকান্তের উইল” বাংলা সাহিত্যের একখানি অনবদ্য গ্রন্থ, বাংলা উপন্যাসের প্রথম সার্থক সৃষ্টি। এর বিষয়ও পুরুষের আত্মসংযমে অনিচ্ছা, স্ত্রীত্যাগ করে অন্য স্ত্রীলোক নিয়ে মত্ত হওয়া এবং শোচনীয় পরিণাম।

এ উপন্যাসের কাহিনী গ্রন্থন ও চরিত্র সন্নিবেশে বিস্ময়কর নৈপুণ্য প্রকাশ পেয়েছে। নারীর আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃত্তির সঙ্গে সংস্কারের দ্বন্দ্ব, পুরুষের নৈতিক অধঃপতন প্রভৃতি বিষয় মনস্তত্ত্বের দিক থেকে উপস্থাপিত হয়েছে। ”বঙ্কিমচন্দ্র যে নরনারীর সহজ স্বাভাবিক চিত্রাংকনে কতখানি দক্ষ ছিলেন, তা বোঝা যায় গোবিন্দলাল ও তার স্ত্রী ভ্রমরের কথোপকথনে। “সেই রাত্রের প্রভাতে শয্যা গৃহে মুক্ত বাতায়নে দাড়াইয়া গোবিন্দলাল। ……… তাহার পাশে আসিয়া একটি ক্ষুদ্র শরীরে বালিকা দাঁড়াইল। গোবিন্দলাল বলিলেন, ‘আবার তুমি এখানে কেন ? বালিকা বলিল, ‘তুমি এখানে কেন ?” গোবিন্দ — আমি একটু বাতাস খেতে এলাম, তাও কি তোমার সইল না ? বালিকা — সবে কেন ? এখনই আবার খাই খাই ? ঘরের সামগ্রী খেয়ে মন উঠে না; আবার মাঠে ঘাটে বাতাস খেতে উঁকি মারেন।” গোবিন্দ — ঘরের সামগ্রী এত কী খাইলাম ? ‘কেন, এইমাত্র আমার কাছে গালি খাইয়াছ ? গোবিন্দ — জান না, ভোমরা, গালি খাইলে যদি বাঙালীর ছেলের পেট ভরিত তাহা হইলে এদেশের লোক একদিনে বদহজমে মরিয়া যাইত। ও সামগ্রীটি অতি সহজে বাঙালীর পেটে জীর্ন হয়।”

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।