বিল্বমঙ্গল কাব্য, মুক্তধারা নাটক | Bilbamangal Kabya and Muktadhara Nataka

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Bilbamangal Kabya and Muktadhara Nataka. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বিল্বমঙ্গল কাব্য, মুক্তধারা নাটক | Bilbamangal Kabya and Muktadhara Nataka

Ajjkal

বিল্বমঙ্গল কাব্য, মুক্তধারা নাটক | Bilbamangal Kabya and Muktadhara Nataka

■ বিল্বমঙ্গল:-

উত্তর:: গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত পৌরাণিক নাটক (১৮৮৮ খ্রীস্টাব্দে)। এই নাটকে বিল্বমঙ্গল কীভাবে প্রচণ্ড ভোগাসক্তির মোহ কাটিয়ে সাধকে পরিণত হয়েছিলেন, তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। বিল্বমঙ্গলের সঙ্গে চিন্তামণির গভীর সম্পর্কও এই নাটকে দেখানো হয়েছে। বিল্বমঙ্গলের সর্ম্পকে রজ্জুভ্রমে চিন্তামণির গৃহে প্রবেশ; বণিক পত্নী লঙ্ঘনের সম্ভাবনা, চোরধূর্ত্ত সংবাদ ইত্যাদি দৃশ্য দ্বারা নাটকীয় ঘাত প্রতিঘাত সৃষ্টি করা হয়েছে। এই নাট্যকাহিনী ভক্তমাল ‘গ্রন্থ থেকে গ্রহণ করলেও এর মধ্যে নাট্যকারের মৌলিক ভাবনার পরিচয় রয়েছে।

■ রক্তকরবী নাটক:-

উত্তর:: ‘রক্তকরবী’ নাটক রবীন্দ্রনাথের লেখা। এটি রূপক সাংকেতিক নাটক। ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দে এই নাটক প্রকাশিত হয়। আধুনিককালের উৎকট ধনতান্ত্রিক জীবন সমস্যাকে রবীন্দ্রনাথ রক্তকরবীর প্রতীকের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। রাজা, রঞ্জন, নন্দিনী, বিশু, কিশোর প্রধান চরিত্র। এই নাটকে প্রেম ও প্রাণের জয় ঘোষিত। ‘রক্তকরবী’ রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ প্রতীক নাটক।

এতে বর্তমান কারখানা ঘরের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস মানবজীবন এবং লোভের ফলে মানুষের মরণ ফাঁদের নিদারুণ স্বরূপ অদ্ভুত প্রতীক ও রহস্যময় ব্যঞ্জনার দ্বারা আভাসে ব্যক্ত হয়েছে। ”জালের আড়ালে থাকেন অমিত শক্তিমান ও ঐশ্বর্যশালী যক্ষরাজ। তার নির্দেশে অনুচররা ধনের পাহাড় তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত মুক্তির প্রতীক নন্দিনী রাজাকে জালের আড়াল থেকে বের করে এনে প্রেমের মহিমা প্রকাশ করল।

রাজা তার বিরাট শক্তি দিয়ে অপরিমেয় ধন সঞ্চয় করতে পারে, কিন্তু আপন শক্তি দিয়ে সে যৌবনের কাছে পৌঁছোতে না পেরে হতাশ কণ্ঠে বলেছে— “নন্দিনী, তোমাকে রূপের মায়ার আঁচল থেকে ছিনিয়ে আমার মুঠোর মধ্যে পেতে চাচ্ছি, কিছুতেই ধরতে পারছি নে। আমি তোমাকে উলটিয়ে পালটিয়ে দেখতে চাই, না পারি তো ভেঙেচুরে ফেলতে চাই। …. তোমার ওই রক্তকরবীর আভাটুকু ছেঁকে নিয়ে আমার চোখে অঞ্জন করে পরতে পারিনে কেন ? নন্দিনী বারবার রাজাকে ডাক দিয়েছে জালের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে প্রাণের সাজে সুন্দর লীলাভূমিতে আশ্রয় নিতে – “আলোয় বেরিয়ে এসো, মাটির উপর পা দাও, পৃথিবী খুশি হয়ে উঠুক”।

■ মুক্তধারা নাটক:-

উত্তর:: ‘মুক্তধারা’ নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এটি ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ‘মুক্তধারা’ রবীন্দ্রনাথের একটি বিশিষ্ট রূপক সাংকেতিক নাটক যার মধ্যে যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে রাজশক্তির সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের স্বরূপ বর্ণিত। উত্তরকুটের রাজা রনজিৎ যন্ত্ররাজ বিভূতির সাহায্যে মুক্তধারার বুকে বাঁধ দিয়ে শিবতরাইএর মানুষের পিপাসার জল ও চাষের জমির জল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অভিজিৎ সেই মুক্তধারার বাঁধ ভেঙে দিতে নিজের জীবন বলি দিল। মুক্তধারার বাঁধ মুক্ত করে সে জলের শ্রোতের সঙ্গে ভেসে গেল। এই নাটকে রাজা রণজিৎ, অভিজিৎ, সঞ্জয়, বিভূতি, ধনঞ্জয় বৈরাগী প্রভৃতি চরিত্রগুলি প্রতীকী। যন্ত্ররাজ বিভূতি বাঁধ বাঁধবার জন্য বহু যুবককে নিয়োগ করেছিল। তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

এতে বিভূতির মনে কোনো অনুতাপ জাগেনি। তাই সে দূতকে বলেছে ‘চন্ডপত্তনের প্রত্যেক ঘর থেকে আঠারো বছরের উপর বয়সের ছেলেকে আমরা আনিয়ে নিয়েছি। তারা তো অনেকেই ফেরেনি। সেখানকার কত মায়ের অভিশাপের উপর আমার যন্ত্র জয়ী হয়েছে। দৈবশক্তির সঙ্গে যার লড়াই, মানুষের অভিশাপকে সে গ্রাহ্য করে ? জোরে দেবতার পদ নিজেই নেব একথা প্রমাণ করবার ভার আমার উপর। ”যন্ত্রের দূত যখন বলেছে, এই বাঁধ বাঁধার জন্য চাষীদের চাষের ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। তখন বিভূতির উক্তি – “বালি পাথর জলের ষড়যন্ত্র ভঙ্গ করে মানুষের বুদ্ধি হবে জয়ী এই ছিল।

উদ্দেশ্য কোন চাষীর কোন ভূট্টার ক্ষেত মারা যাবে সে কথা ভাববার সময় ছিল না।” অভিজিৎ নিজের প্রাণ দিয়ে মুক্তধারার বাঁধ ভেঙেছে একথা শোনবার পর ধনঞ্জয় সকলকে বলেছেন যে অভিজিতের মতো ছেলেদের কখনো মৃত্যু হয় না। এই জীবন উৎসর্গের মধ্য দিয়ে সে চিরকালের জন্য মানুষের হৃদয়ে রয়ে যাবে।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।