Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Gitanjali Kavya Rabindranath Tagore. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে সংক্ষিপ্ত টীকা-গীতাঞ্জলি কাব্য – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Gitanjali Kavya Rabindranath Tagore।
সংক্ষিপ্ত টীকা-গীতাঞ্জলি কাব্য – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Gitanjali Kavya Rabindranath Tagore
■ গীতাঞ্জলি কাব্য:-
উত্তর:: ‘গীতাঞ্জলি’ রবীন্দ্রনাথের লেখা বিখ্যাত কাব্য। ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে এই কাব্যটি প্রকাশিত হয়। পরম রসময় ও লীলাময় ভগবানকে পাবার জন্যে, তাঁর পায়ে নিজেকে পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণের ব্যাকুলতা ‘গীতাঞ্জলী’ কাব্যের মূল সুর। সকল অহংকার ত্যাগ করে, দুঃখ বেদনার দাহে হৃদয়কে পুড়িয়ে নির্মল করে বিচিত্র আত্মোপলব্ধির মধ্য দিয়ে কবি ভগবানের পানে অগ্রসর হয়েছেন।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে ভগবানকে পরিপূর্ণ ও নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করবার আকুলতা ‘গীতাঞ্জলী’ কাব্যের মূল সুর। গীতাঞ্জলি ভগবৎ উপলব্ধির কাব্য। সকল অহংকার ত্যাগ করে দুঃসহ দুঃখের মধ্য দিয়ে ভগবৎ উপলব্ধির পথে অগ্রসর হওয়াই গীতাঞ্জলির মূল সুর। দুঃখবঞ্ছনার শুদ্ধ পথে ভগবানের সঙ্গে মিলন প্রচেষ্টাই গীতাঞ্জলির বিষয়বস্তু বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন গগন অন্ধকার, কে দেয় আমার বীণার তারে এমন ঝংকার। নয়নে ঘুম নিল কেড়ে উঠে বসি শয়ন ছেড়ে মেলে আঁখি চেয়ে থাকি পাই যে দেখা তার।
■ সোনার তরী কাব্য:-
উত্তর:: ‘সোনার তরী’ রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি বিখ্যাত কাব্য। ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়। এতদিন কবি প্রকৃতি ও মানুষকে যে দৃষ্টিতে দেখেছেন, তাঁর সেই দেখার মধ্যে কিছু পরিবর্তন ঘটে গেল। এই সময় কবি জমিদারী দেখাশুনার জন্য শিলাইদহ, শাহজাদপুর প্রভৃতি অঞ্চলে পদ্মার তীরে বোটে বাস করতেন। এই প্রথম তিনি প্রকৃতির নিজস্ব সৌন্দর্য ও মাধুর্য দেখে মুগ্ধ হলেন, প্রকৃতির সঙ্গে গভীর একাত্মতা অনুভব করলেন।
প্রকৃতির রূপ, রহস্য, গন্ধ, গান তাঁকে আত্মহারা করে দিয়েছে। ‘সোনার তরী’ কাব্যে কবির এই অভিনব প্রকৃতি প্রেম নানাভাবে ব্যক্ত হয়েছে। ‘সোনার তরী’ কাব্যটি সম্পর্কে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন “মহাকাল প্রবাহিত হইয়া চলিয়া যাইতেছে, মানুষ তাহার কাছে নিজের সমস্ত কৃতকর্ম, কীর্তি সমর্পণ করিতেছে, এবং মহাকাল সেই সমস্ত গ্রহণ করিয়া এককাল হইতে অন্যকালে, এক দেশ হইতে অন্য দেশে, বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে, সেগুলিকে রক্ষা করিতেছে কিন্তু মানুষ যখন মহাকালকে অনুরোধ করিল- “এখন আমারে লহ করুণা করে” তখন মানুষ নিজেই দেখিল যে— ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই – ছোট সে তরী আমারি সোনার ধানে গিয়াছে ভরি।”
■ ছাড়পত্র কাব্য:-
উত্তর:: ‘ছাড়পত্র’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কাব্য। ১৯৪৭ সালে কবির মৃত্যুর পর এটি প্রকাশিত হয়। এই কাব্যের সিঁড়ি’, ‘দেশলাই কাঠি, ‘বোধন’, ‘একটি মোরগের কাহিনী’ প্রভৃতি কবিতার মূল সুর অত্যাচারী ও শাসক শোষকের স্বরূপ নির্ধারণ এবং তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুবাণী ঘোষণা। এই কাব্যে সাধারণ মানুষের জীবন যন্ত্রণা তিনি সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন। ‘ছাড়পত্র’ কাব্যের প্রথম কবিতার মধ্যেই রয়েছে এ কাব্যের মূল সূর— চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার। অবশেষে সব কাজ সেরে আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে করে যাব আর্শীবাদ, তারপর হব ইতিহাস।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।