মেহেরগড় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান ও গুরুত্ব | Geographical Location Mehergarh civilization

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Geographical Location Mehergarh civilization. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মেহেরগড় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান ও গুরুত্ব | Geographical Location Mehergarh civilization

Ajjkal

মেহেরগড় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান ও গুরুত্ব | Geographical Location Mehergarh civilization

ফরাসী প্রত্নবিদ জেন ফ্রাঁসোয়া জারেজ এবং তাঁহার সহকর্মীরা মেহেরগড় সভ্যতা অস্তিত্বকে সর্বপ্রথম জনসমক্ষে তুলে ধরেন। ১৯৭৯ সালে ফ্রাঁসোয়া জারেজ মেহেরগড় সভ্যতা নিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এরপর ১৯৮০ সালে ফ্রাঁসোয়া জারেজও রিচার্ড মিডো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ‘সায়েন্টিফিকা আমেরিকানা’য় যুগ্মভাবে মেহেড়গড় সভ্যতার ওপরে একটি সুচিন্তিত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক ডক্টর ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মেহেড়গড় সভ্যতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বাংলায় প্রবন্ধ লেখেন।

মেহেরগড় ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর অন্যতম। আজ থেকে প্রায় ৮,৫০০ বছর আগে মেহেরগড় ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে মানব সভ্যতার যে বিকাশের সূত্রপাত হয়, তাঁ প্রথমে হরপ্পা সভ্যতা ও পরে ঋক্ -বৈদিক সভ্যতার বিকাশের মধ্যে দিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে। ভারতীয় ঐতিহাসিক ডঃ এন.এস.রাজারাম; এস.আর.রাও; এস.পি.গুপ্ত; শ্রীকান্ত তালাগারে এবং মার্কিন ভারত তত্ত্ববিদ ডেভিড ফ্রলে প্রমুখ ঐতিহাসিকরা মেহেরগড় সভ্যতা, হরপ্পা সভ্যতা ও বৈদিক সভ্যতাকে এক অবিচ্ছিন্ন সভ্যতার বিভিন্ন পর্ব বলে চিহ্নিত করে এদের একসঙ্গে সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা নামে অভিহিত করেছেন। কোনো বিদেশি সভ্যতার অনুকরণ করা ছাড়াই হরপ্পা সভ্যতার অনেক আগেই ভারতীয় উপমহাদেশের মেহেরগড়কে কেন্দ্র করে বেলুচিস্তান ও সিন্ধু অঞ্চলে একটি কৃষিকেন্দ্রিক সভ্যতার সূচনা হয়। তাই সিন্ধু সভ্যতার পটভূমি হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশের পুরাতাত্ত্বিক বিচারে মেহেরগড় সভ্যতার অনন্যসাধারণ অবদান রয়েছে।

মেহেরগড় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান ভৌগোলিক অবস্থান : পাকিস্তানের কোয়েটা শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে বোলান গিরিপথের কাছে অবস্থিত মেহেরগড়ের প্রায় ৫০০ একর জায়গা জুড়ে নতুন প্রস্তর যুগের সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। এই সভ্যতার মূল কেন্দ্রগুলো ছিল কিলে গুল মহম্মদ, কোট দিজি, গুমলা, মুন্ডিগাক, রাণা ঘুনডাই, আনজিরা ও মেহেরগড়।

আধুনিক ঐতিহাসকরা মনে করেন যে, বেলুচিস্তানের জোব নদী থেকে পশ্চিমভারতের সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিশাল অঞ্চল জুড়ে মেহেরগড় সভ্যতা বিস্তৃত ছিল। এই সভ্যতার পূর্ব দিকে হিমালয় পর্বত ও থর মরুভূমি, পশ্চিমে ইরাক, ইরাণ ও আরবের মরুভূমি, উত্তরে হিন্দুকুশ, কারাকোরাম, ককেশাস, এলবুর্জ প্রভৃতি পর্বতমালা এবং দক্ষিণে মহেঞ্জোদাড়ো ও কর্কটক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলগুলো অবস্থিত।

মেহেড়গড় সভ্যতার গুরুত্ব : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে মেহেড়গড় সভ্যতার অসাধারণ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ :

প্রথমত, মেহেড়গড় সভ্যতার প্রাচীনত্ব ও ব্যপ্তি বিস্ময়কর। অনুমান করা যায়, এশিয়া মহাদেশের আর কোথাও এত সুপ্রাচীন সভ্যতার উদ্ভব হয়নি। মেহেড়গড় সভ্যতার আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীনত্ব এক ধাক্কায় খ্রিষ্টপূর্ব সাত হাজার বছরের কালসীমা স্পর্শ করেছে।

দ্বিতীয়ত, প্রখ্যাত গবেষক জোনাথান কেনোয়ার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘মেহেড়গড়ে যার সূচনা তারই বিকশিত অধ্যায় হল হরপ্পা সভ্যতা’। মেহেড়গড় সভ্যতা যে ছিল হরপ্পা সভ্যতার পূর্বসুরী এবিষয়ে আজ আর কোনো সন্দেহ নেই।

তৃতীয়ত, এন.এস.রাজারাম, এস.পি.গুপ্ত, শ্রীকান্ত তালাগারে এবং প্রখ্যাত ভারতত্ত্ববিদ ডেভিড ফ্রলে প্রমুখ ঐতিহাসিকরা মেহেরগড় সভ্যতা, হরপ্পা সভ্যতা ও বৈদিক সভ্যতাকে ভারতের নিজের এক অবিচ্ছিন্ন সভ্যতার বিভিন্ন পর্ব বলে চিহ্নিত করে এদের একসঙ্গে সিন্ধু সরস্বতী সভ্যতা নামে অভিহিত করেছেন।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।