বৈদিক সভ্যতার অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য সমূহ | Economic Characteristics of Vedic Civilization

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ নিয়ে এসেছি Economic Characteristics of Vedic Civilization. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বৈদিক সভ্যতার অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য সমূহ | Economic Characteristics of Vedic Civilization

Ajjkal

বৈদিক সভ্যতার অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য সমূহ | Economic Characteristics of Vedic Civilization

অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য :

(১) কৃষি ও ভূমি বন্টন ব্যবস্থা : ঋক-বৈদিক যুগের অর্থনীতির প্রধান অবলম্বন ছিল কৃষি ও পশুপালন। প্রথম দিকে পশুপালনই ছিল আর্যদের প্রধান জীবিকা। পরবর্তী সময়ে জীবিকার তাড়নায় আর্যরা ক্রমশ কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন। এই যুগের প্রথম দিকে জমির মালিক ছিল সমস্ত গ্রাম। তবে কৃষি জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল না সমষ্টিগত যৌথ মালিকানা ছিল তা নিয়ে মতভেদ আছে। কৃষি ছিল মানুষের প্রধান জীবিকা। কৃষককে বলা হত ‘কৃষ্টি’। কর্ষিত জমিকে ‘ক্ষেত্র’ অথবা ‘উর্বরা’ বলা হত। জমিতে সার দেওয়া ও জলসেচের কথাও ঋগ্বেদে পাওয়া যায়। এযুগের কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে প্রধান ছিল ধান , গম ও যব।

(২) অন্যান্য বৃত্তির উদ্ভব : কৃষিভিত্তিক সমাজের চাহিদার ভিত্তিতে বৈদিক যুগে অন্যান্য বৃত্তির উদ্ভব হয়। ঋগ্বেদে সূত্রধর, চর্মকার, ছুতোর, তাঁতি ও কুমোরের উল্লেখ পাওয়া যায়। রথ নির্মাতারা এই যুগের সমাজে যথেষ্ট সম্মানের অধিকারী ছিলেন।

(৩) শিল্প : ঋগ্বেদের যুগের প্রধান শিল্প ছিল সুতি বা পশম বস্ত্ৰবয়ন। বস্ত্রবয়ন ছাড়াও এই যুগে কারিগরি শিল্পও উন্নতি লাভ করে। এদের মধ্যে রথ এবং যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণ শিল্প ছিল প্রধান।

(৪) ব্যাবসাবাণিজ্য : ঋগ্বেদের যুগে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য প্রসার লাভ করে, যা স্থল ও জল এই উভয় পথেই পরিচালিত হত। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ছাড়াও ঋগ্বেদে শত দাঁড় বিশিষ্ট বড়ো নৌকার উল্লেখ পাওয়া যায়, যা সেই যুগে সমুদ্র যাত্রার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হত। তবে আর্যরা সমুদ্র যাত্রা করতেন কিনা সে বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে আজও মতবিরোধ আছে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে এযুগে গোরুর গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার প্রচলিত ছিল।

(৫) বিনিময় প্রথা : বৈদিক যুগে দ্রব্যের মাধ্যমে বিনিময়, অর্থাৎ বিনিময় প্রথা বিশেষ ভাবে প্রচলিত ছিল, বিশেষত গোরু ছিল এযুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম। এছাড়া বৈদিক সাহিত্যে ‘নিষ্ক’ ও ‘মানা’ নামে মুদ্রার উল্লেখ আছে।

■ বৈদিক সভ্যতার রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য :

(১) উপজাতিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা : বৈদিক যুগের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল প্রধানত উপজাতিকেন্দ্রিক। এই সময়ে বিভিন্ন উপজাতিদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ লেগেই থাকত। উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে যদু, পরু ও তুর্ভস ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। এর পরবর্তী সময়ে ভরত, সৃঞ্জয় ও পাঞ্চাল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। উপজাতিগুলোর গোষ্ঠী নেতারা ক্রমে ক্রমে রাজাদের মতো নানা সুযোগসুবিধা ও ক্ষমতা ভোগ করতে করতে কালক্রমে রাজায় পরিণত হন। রাজা : রাজা ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তা। এই সময় রাজপদ সাধারণত বংশানুক্রমিক ছিল। প্রজা ও প্রজাদের সম্পত্তি রক্ষা, কর আদায়, বিচার, যুদ্ধ পরিচালনা ও ধর্মরক্ষা করা ছিল রাজার প্রধান দায়িত্ব। রাজার আয়ের উৎস ছিল দুটি, যেমন : (১) রাজাকে প্রদত্ত দান এবং (২) যুদ্ধে পরাস্ত গোষ্ঠীর কাছ থেকে আদায়ীকৃত দ্রব্যসামগ্রী।

(৩) সভা ও সমিতি : এযুগে ‘সভা’ ও ‘সমিতি’ নামে দুটি জনসভা রাজশক্তি নিয়ন্ত্রণ করত। রাজ্যের বয়োবৃদ্ধদের নিয়ে ‘সভা’ গঠিত হত, আর ‘সমিতি’ ছিল জনসাধারণের সাধারণ পরিষদ। শাসন, বিচার ও জনহিতকর সংক্রান্ত কাজের ব্যাপারে এই সংস্থা দুটি অংশগ্রহণ করত। তবে ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার -এর মতে, প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিঃসন্দেহে ‘সমিতি’ র ক্ষমতা বেশি ছিল।

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।