Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Reasons of Fall of the Mughal Empire. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ | Reasons of Fall of the Mughal Empire।

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ | Reasons of Fall of the Mughal Empire
আয়তন, জনসংখ্যা, আর্থিক সম্পদ ও সামরিক শক্তির দিক দিয়ে সে-যুগে মোগল সাম্রাজ্য শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। সেই বিশাল সাম্রাজ্যে পতনের সূচনা শাহজাহানের আমলে শুরু হয়, ঔরঙ্গজেবের আমলের শেষের দিকে ধ্বংসের সম্মুখীন হয় এবং তাঁর মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের মধ্যে তা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। মোগল সাম্রাজ্যের পতনের প্রধান কারণ হল-
■ (১) সামরিক শক্তির উপর গুরুত্ব স্থাপন : মোগল সম্রাটরা, রাষ্ট্রের বেশির ভাগ কর্মচারী ও আমীর-ওমরাহরা ছিলেন তুর্কী । তুর্কীরা ছিল নিতান্তই সামরিক জাতি। যতদিন যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল ততদিন তারা ছিল শক্তিশালী। কিন্তু যে মুহূর্তে সামরিক প্রয়োজন মিটে গেল, সেই মুহূর্ত থেকে তাদের অবক্ষয় শুরু হয়।
■ (২) স্বৈরতন্ত্রের ত্রুটি : মোগল শাসনপ্রণালী ছিল স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র। সম্রাটের ব্যক্তিগত চরিত্র, বুদ্ধি ও কর্মদক্ষতার ওপর প্রশাসনের সাফল্য ও এমনকি তার অস্তিত্ব পর্যন্ত নির্ভরশীল ছিল। আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মোগল সম্রাটদের চারিত্রিক শৈথিল্য ও অযোগ্যতার ফলে মোগল সাম্রাজ্যের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীরা শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিজাত, মন্ত্রী ও অনুগ্রহপুষ্টদের ওপর অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। এরফলে উপযুক্ত নাবিকের অভাবে দিকহীন নৌকার মতো মোগল সাম্রাজ্য দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
■ (৩) সুনির্দিষ্ট উত্তরাধিকার আইনের অভাব : মোগল সিংহাসনের উত্তরাধিকার সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় প্রত্যেক সম্রাটের মৃত্যুর পরে মোগল রাজপরিবারে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্ভব হয়।
■ (৪) অভিজাতশ্রেণির নৈতিক অবনতি ও পারস্পরিক স্বার্থসংঘাত : ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীদের চারিত্রিক ও নৈতিক অবনতির সঙ্গে সঙ্গে মোগল অভিজাতদের নৈতিক অবনতি ঘটতে থাকে। মোগল শাসনের প্রথম যুগে অভিজাতরা ছিলেন সাম্রাজ্যের স্তম্ভস্বরূপ। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীদের অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে অভিজাতদেরও অধঃপতন ঘটে। সম্রাট ও সাম্রাজ্যের স্বার্থবিসজন দিয়ে দরবারে অভিজাতদের বিভিন্ন গোষ্ঠী তৎপর হয়ে ওঠে। শাহজাহানের সময় থেকে জায়গির সংকটের সূচনা হয় এবং ঔরঙ্গজেবের আমলে তা গভীর হয়ে দেখা দেয়।
■ (৫) কৃষক অসন্তোষ : মোগল সাম্রাজ্যের পতনের অপর অন্যতম কারণ ছিল কৃষক অসন্তোষ ও কৃষক বিদ্রোহ। অভিজাতদের জায়গিরের নিয়ত হস্তান্তর কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় করে তুলেছিল। এই নীতির ফলে জায়গিরদারদের একমাত্র লক্ষ ছিল কৃষকদের শোষণ করা। ইজারা প্রথা প্রবর্তিত হবার ফলে এক নতুন শোষক শ্রেণির জোতদার ও তালুকদারদের সৃষ্টি হয়। কৃষকদের ওপর এদের অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যায়। ফলে কৃষকদের অসন্তোষ ক্রমেই প্রকটিত হয়ে ওঠে।
■ (৬) অর্থনৈতিক বিপর্যয় : কৃষক, শিল্পী ও বণিকদের ওপর ক্ষমতার অতিরিক্ত কর ধার্য, মোগল দরবারের ব্যয়বহুল জাঁকজমক ও ব্যয়বহুল মোগল হারেম প্রভৃতি কারণে এক দারুণ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের উদ্ভব হয়। দাক্ষিণাত্যে ঔরঙ্গজেবের দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিগ্রহ ও সাম্রাজ্যের সর্বত্র অশান্তি অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করে। ব্যাবসাবাণিজ্য, কৃষি ও শিল্পের ক্ষেত্রে এক অচল অবস্থা এসে পড়ে।
■ (৭) সামরিক ত্রুটি : সামরিক ত্রুটিও সাম্রাজ্যের পতনের আরও একটি কারণ। বিভিন্ন জাতির সমন্বয়ে সেনাবাহিনী গঠিত হওয়ায় সর্বত্র একই ধরনের রণকৌশল অনুসরণ করা অসম্ভব হয়ে দেখা দেয়। এই মিশ্রবাহিনীকে আয়ত্তে রাখাও কঠিন ছিল। সেনা শিবিরে বিলাসব্যসনের আধিক্য ও নর্তকী রাখার প্রথা সেনাদের কর্মদক্ষতা বিশেষভাবে ক্ষুণ্ণ করত।
■ (৮) বৈদেশিক আক্রমণ : অভ্যন্তরীণ কারণে মোগল সাম্রাজ্য যখন শতধা বিচ্ছিন্ন ও বিধ্বস্ত সেই সময় নাদির শাহ ও আহম্মদ শাহ আবদালী ভারত আক্রমণ করে মোগল সাম্রাজ্যের ওপর চরম আঘাত হানেন। এই আঘাত থেকে মোগল সাম্রাজ্যকে উদ্ধার করার মতো শক্তি কারও ছিল না।
■ (৯) নৌ-শক্তির অভাব : নৌ-শক্তির অভাব মোগল সাম্রাজ্যের পতনের আর-এক কারণ। মুঘল সম্রাটদের মধ্যে একমাত্র আকবর ছাড়া আর কেউই নৌ-বাহিনী গঠনের দিকে দৃষ্টি দেননি। নৌবলে বলীয়ান ইউরোপীয় জাতিগুলিকে বাধা দেওয়ার মতো শক্তি মুঘল সাম্রাজ্যের ছিল না।
■ (১০) মোগল সাম্রাজ্যের বিশালতা : মোগল সাম্রাজ্যের বিশালতা এই সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। সেকালের ধীরগতির যানবাহন এবং পরিবহন ব্যবস্থার ফলে কাবুল থেকে আসাম এবং কাশ্মীর থেকে মহীশূর পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল সাম্রাজ্যকে একটি কেন্দ্র থেকে শাসন করা কার্যত প্রায় অসম্ভব হওয়ায় রাজধানী দিল্লি থেকে বহু দূরে অবস্থিত প্রদেশগুলিকে কেন্দ্রের শাসনাধীনে রাখা ক্রমশ দুরুহ হয়ে পড়ে। এর ওপর ঔরঙ্গজেবের ভ্রান্ত দাক্ষিণাত্য নীতির প্রতিক্রিয়া মোগল সাম্রাজ্যের বুনিয়াদ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়।
■ (১১) ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা : ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতাও মোগল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য বহুলাংশে দায়ী ছিল। তাঁর পরধর্মে অসহিষ্ণুতা সাম্রাজ্যের অমুসলিম প্রজাদের সাম্রাজ্যের পরম শত্রুতে পরিণত করে। বিশেষ করে যুদ্ধনিপুণ রাজপুত রাজন্যবর্গ, যাঁরা আকবরের আমল থেকে মোগল সাম্রাজ্যের শক্তিবৃদ্ধিতে বহুলাংশে সহায়ক হয়েছিলেন, ঔরঙ্গজেবের ভ্রান্ত এবং একপেশে নীতির ফলে তাঁরা বিশেষভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে মোগলদের প্রতি অসহযোগ নীতি গ্রহণ করেন, যা মোগল সাম্রাজ্যের ভাঙনে ইন্ধন যোগায়। আধুনিক ঐতিহাসিকরা অবশ্য মোগল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতাকে দায়ী করেন না।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।