Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Important Definitions of Condensation. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ঘনীভবন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংজ্ঞা | Important Definitions of Condensation।

ঘনীভবন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংজ্ঞা | Important Definitions of Condensation
ঘনীভবন (Condensation) : উষ্ণতার হ্রাসে পদার্থের গ্যাসীয় অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হওয়ার ঘটনাকে ঘনীভবন বলে।
❏ একটি পরীক্ষা : একটা কাচের গ্লাসে কয়েকখণ্ড বরফ রাখলে কিছুক্ষণ পরে গ্লাসের বাইরে কিছু কিছু জল জমে। এর কারণ বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠান্ডা গ্লাসের সংস্পর্শে ঘনীভূত হয়ে জলে পরিণত হয়। নানা কারণে এবং নানা অবস্থায় বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির, কুয়াশা, মেঘ প্রভৃতির সৃষ্টি হয়।
■ সম্পৃক্ত বাষ্প : কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায়, নির্দিষ্ট আয়তনের আবদ্ধ স্থানে সর্বোচ্চ পরিমাপ বাষ্প উপস্থিত থাকলে ওই বাষ্পকে সম্পৃক্ত বাষ্প বলে। বাষ্পের সম্পৃক্ত অবস্থা উম্মতার ওপর নির্ভর করে। সম্পৃক্ত অবস্থায় বাষ্প পাত্রের দেয়ালে যে চাপ প্রয়োগ করে তাকে সম্পৃক্ত বাষ্প চাপ বলে। উষ্মতা বাড়লে বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ধারণ করবার ক্ষমতা বাড়ে এবং উষ্মতা হ্রাসে এই ক্ষমতা কমে যায়।
■ অসম্পৃক্ত বাষ্প : কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায়, নির্দিষ্ট আয়তনের আবদ্ধ স্থান সর্বাধিক যে পরিমাণ বাষ্প ধারণে সক্ষম, তার চেয়ে কম পরিমাণ বাষ্প ওই স্থানে থাকলে, ওই বাষ্পকে অসম্পৃক্ত বাষ্প বলে এবং ওই বাষ্পের চাপকে অসম্পৃক্ত বাষ্প চাপ বলে।
■ শিশিরাঙ্ক (Dew point) : যে উম্মতায় কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু ওর মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়, সেই উম্মতাকে ওই বায়ুর শিশিরাঙ্ক বলে । কোনো স্থানে বায়ুর শিশিরাঙ্ক 12°C –এর দ্বারা বোঝা যায় যে ওই স্থানে যে বায়ু আছে তা 12°C উম্মতায় ওর মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হবে।
■ শিশির (Dew) : দিনের বেলায় উষ্মতা বেশি থাকায় উত্তপ্ত বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেশি থাকে। কিন্তু রাত্রিবেলা ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হয়। তখন ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর ঠান্ডা হয়ে পড়ে। ফলে ওই বায়ু অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে পারে। উম্মতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে, অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবিন্দুর আকারে ঠান্ডা ঘাস, পাতা ইত্যাদির ওপর জমা হয়। একেই আমরা শিশির বল্লি।
❏ শিশির পড়ার শর্ত : (i) মেঘহীন আকাশ, (ii) তাপের ভালো বিকিরক এবং কুপরিবাহী বস্তুর উপস্থিতি, (iii) বায়ুতে জলীয় বাষ্পের অধিক মাত্রা, (iv) স্থির বাতাস, (v) ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বস্তুর উপস্থিতি শিশির জমার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
■ কুয়াশা (Fog) : যদি কোনো কারণে বায়ুমণ্ডলের বিরাট এলাকার উন্মতা কমে শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে যায়, তাহলে ওই বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ধারণের ক্ষমতা কমে, সে অবস্থায় বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ছোটো ছোটো জলকণার আকারে বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা, কয়লার ক্ষুদ্র কণা আশ্রয় করে ভাসতে থাকে। একেই বলে কুয়াশা।
■ মেঘ (Cloud) : বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তরের কুয়াশাকে মেঘ বলে। বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস হালকা হওয়ার কারণে ওপরে উঠে। সেখানে চাপ কম থাকায় তা প্রসারিত হয় এবং উষ্মতা হ্রাস পায়। অসংখ্য ভাসমান ধূলিকণা ও কয়লার গুঁড়োর ওপর জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণার রূপ নেয়। এরূপ অসংখ্য জলকণা দিয়ে মেঘের দেহ তৈরি হয়। কুয়াশা আর মেঘের মধ্যে প্রভেদ এই যে, মেঘ বায়ুমণ্ডলের উঁচু স্তরে সৃষ্টি হয়, কিন্তু কুয়াশা হয় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুস্তরে।
■ বৃষ্টি (Rain) : ঠান্ডা ভাসমান মেঘের জলকণাগুলি পরস্পরের কাছে এসে মিলিত হয়ে জলের বড়ো এবং ভারী ফোঁটার সৃষ্টি করে। অভিকর্ষের টানে জলের ফোঁটা বৃষ্টির আকারে ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। বৃষ্টির ফোঁটা ভূপৃষ্ঠের দিকে নামার সময় বায়ুমণ্ডলের অতিশীতল কোনো স্তর যদি কখনও অতিক্রম করে তখন অনেক জলের ফোঁটা বরফে পরিণত হয়। জলের ফোঁটার সঙ্গে বরফের টুকরো পড়ার ঘটনাকে শিলাবৃষ্টি (hail) বলে।
■ তাপের একক (Units of heat) : এক গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উষ্মতা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন, তাকে 1 ক্যালোরি বলে। ক্যালোরি হল C.G.S. পদ্ধতিতে তাপের একক। তাপের আন্তর্জাতিক একক হল জুল (joule)। 1 ক্যালোরি = 4.1855 জুল।
■ বোধগম্য তাপ (Sensible heat) : তাপ দিলে পদার্থের উম্মতা বাড়ে, তাপ কমালে উষ্মতা কমে। তাপ গ্রহণে বা বর্জনে পদার্থের উম্মতার এই পরিবর্তন একটি থার্মোমিটারের যে তাপ পদার্থের উম্মতার পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় না, তাকে বোধগম্য তাপ বলে।
■ লীনতাপ : পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের সময় পদার্থ কিছু পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে কিংবা বর্জন করে যার বাহ্যিক প্রকাশ হয় না। নির্দিষ্ট চাপে একক ভরের কোনো পদার্থের উষ্মতার কোনোরূপ পরিবর্তন না করে কেবলমাত্র ওর অবস্থার পরিবর্তন (কঠিন = তরল = বাষ্প) করতে যে পরিমাণ তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয়, সেই তাপকে ওই পদার্থের লীনতাপ বলে। C.G.S. পদ্ধতিতে লীনতাপের একক হল— ক্যালোরি / গ্রাম। বর্তমানে লীনতাপের আন্তর্জাতিক একক হল জুল / কেজি বা J / kg। অবস্থার বিভিন্ন পরিবর্তনের লীনতাপ চার প্রকার; যথা – (i) গলনের লীনতাপ, (ii) হিমায়নের লীনতাপ, (iii) বাষ্পীভবনের লীনতাপ এবং (iv) ঘনীভবনের লীনতাপ।
■ লীনতাপের দরুন বাষ্পায়নে শৈত্যের উৎপত্তি (Cooling by evapora | tion due to latent heat) :
(i) হাতে কয়েক ফোঁটা স্পিরিট বা ইথার ফেললে খুব ঠান্ডা মনে হয়। কারণ, উদ্বায়ী স্পিরিট বা ইথার দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়; এজন্য প্রয়োজনীয় লীনতাপ হাত থেকে টেনে নেয়। তাই হাতের উষ্মতা কমে যায় এবং ঠান্ডা বোধ হয়।
(ii) গরমের দিনে মাটির কুঁজোয় জল রাখলে জল ঠান্ডা হয়। এর কারণ মাটির কুঁজোয় অসংখ্য ছোটো-বড়ো ছিদ্র থাকে। সেই সব ছিদ্র দিয়ে জল চুঁইয়ে বাইরে আসে এবং বাষ্পে পরিণত হয়। বাষ্পীভবনের লীনতাপ কুঁজো থেকে গৃহীত হয়; ফলে কুঁজো এবং কুঁজোর জল ঠান্ডা হয়। মাটির কুঁজো ছাড়া কাচ বা ধাতুর পাত্রে জল রাখলে জল ঠান্ডা হয় না। কারণ ওইসব পাত্রে ছিদ্র না থাকায় বাষ্পায়নের ফলে শীতলতা সৃষ্টির সুযোগ থাকে না।
■ হিমমিশ্রণ : যে মিশ্রণ দিয়ে মূল পদার্থের গলনাঙ্কের চেয়ে অনেক কম উষ্মতার সৃষ্টি করা যায়, সেই মিশ্রণকে হিমমিশ্রণ বলে। 3 ভাগ বরফ গুঁড়োর সঙ্গে 1 ভাগ ওজনের সাধারণ লবণ মেশালে যে মিশ্রণ উৎপন্ন হয় তার দ্বারা প্রায় – 20°C উম্মতার সৃষ্টি করা যায়। হিমমিশ্রণের ব্যবহার : হিমমিশ্রণকে নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। (i) মাছ-মাংস দূর দেশে চালান দেওয়ার সময় হিমমিশ্রণ (বরফ + লবণ) দ্বারা ঢেকে রাখা হয়। এর ফলে মাছ-মাংস পচে যায় না। (ii) আইসক্রিম, কুলপি বরফ ইত্যাদি তৈরি করার কাজে হিমমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।