মানব মস্তিষ্কের গঠন ও বিভিন্ন অংশের কাজ | Structure and Function of Human Brain




Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Structure and Function of Human Brain. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মানব মস্তিষ্কের গঠন ও বিভিন্ন অংশের কাজ | Structure and Function of Human Brain

Ajjkal

মানব মস্তিষ্কের গঠন ও বিভিন্ন অংশের কাজ | Structure and Function of Human Brain

মানব মস্তিষ্কের সংজ্ঞা : সুষুম্নাকাণ্ডের অগ্রভাগে অবস্থিত ও করোটির দ্বারা সুরক্ষিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত যে অংশটিতে প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি স্নায়বিক আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে মস্তিষ্ক বলা হয়ে থাকে।

মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় 1.36 কেজি এবং এতে প্রায় 1,000 কোটি স্নায়ুকোষ এবং ততোধিক নিউরোগ্লিয়া থাকে।

গঠন (Structure) : মানুষের মস্তিষ্কটি করোটির মধ্যে মেনিনজেস নামে একটি পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে। মানুষের মস্তিষ্কটিকে তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত করা যায়, যথা : (i) অগ্র মস্তিষ্ক, (ii) মধ্য মস্তিষ্ক এবং (iii) পশ্চাদ মস্তিষ্ক।



■ 1. অগ্র মস্তিষ্ক : অগ্র মস্তিষ্কটি তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত হয়, যথা : (a) গুরু মস্তিষ্ক, (b) থ্যালামাস এবং (c) হাইপোথ্যালামাস।

■ (a) গুরু মস্তিষ্ক : গুরু মস্তিষ্ক হল মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ এবং করোটির প্রায় বেশি ভাগ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। এর বাইরের দিকে অসংখ্য খাঁজ (সালকাস) এবং ভাঁজ (জাইরাস) দেখা যায়। গুরু মস্তিষ্কটি একটি গভীর খাঁজ দিয়ে দুটি গোলার্ধে অর্থাৎ ডান ও বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারে বিভক্ত থাকে। এই গোলার্ধ দুটি করপাস ক্যালোসাম নামে একটি প্রশস্ত স্নায়ু-যোজক দিয়ে পরস্পর যুক্ত থাকে। গুরু মস্তিষ্ক পাঁচটি খণ্ডে বিভক্ত হয়, যথা : অগ্র খণ্ড মধ্য খণ্ড পশ্চাদ্ খণ্ড এবং দুটি পার্শ্ব খণ্ড৷ এগুলিকে ফ্রন্টাল, প্যারাইটাল, টেম্পোরোল, অক্সিপিটাল ও লিম্বিক লোব বলা হয়ে থাকে। গুরু মস্তিষ্কের বহির্ভাগ ধূসর পদার্থ এবং অন্তর্ভাগ শ্বেত পদার্থ দিয়ে গঠিত।



● কাজ : গুরু মস্তিষ্ক (i) চাপ তাপ, ব্যথা ইত্যাদি স্পর্শবোধ; (ii) ভয়, আনন্দ প্রভৃতি চেতনাবোধ; এবং (iii) স্মৃতি, চিন্তা, বুদ্ধি প্রভৃতি উন্নত মানসিক বোধ নিয়ন্ত্রণ করে; (iv) মানবদেহের বিভিন্ন অংশের নানা শারীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে এবং (v) মানুষের বিভিন্ন সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করে।

■ (b) থ্যালামাস : গুরু মস্তিষ্কের নীচে অবস্থিত এবং ধূসর পদার্থ দিয়ে গঠিত অংশকে থ্যালামাস বলা হয়ে থাকে।

● কাজ : এটি মানুষের ক্রোধ, লজ্জা, বেদনা, ইত্যাদি মানসিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

■ (c) হাইপোথ্যালামাস : থ্যালামাসের নীচে অবস্থিত এবং শ্বেত ও ধূসর পদার্থ দিয়ে গঠিত অংশকে হাইপোথ্যালামাস বলা হয়ে থাকে।

● কাজ : এটি মানসিক আবেগ ও ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানও হাইপোথ্যালামাসের অন্যতম প্রধান কাজ।

■ 2. মধ্য মস্তিষ্ক : অগ্র ও পশ্চাদ্ মস্তিষ্কের মাঝখানে মধ্য মস্তিষ্ক অবস্থিত, এর প্রধান অংশগুলি হল :

ক্রুরা সেরিব্রাই, টেগমেনটাম এবং টেকটাম।

● কাজ : এই অংশটি দর্শন ও শ্রবণ নিয়ন্ত্রণ করে।

■ 3. পশ্চাদ মুস্তিষ্ক : মানুষের পশ্চাদ মস্তিষ্কটি (a) লঘুমস্তিষ্ক, (b) পনবা যোজক এবং (c) সুষুম্নাশীর্ষক নিয়ে গঠিত।

■ (a) লঘু মস্তিষ্ক : এটি সুষুম্নাশীর্ষক ও পনসের পিছনে এবং পশ্চাদ করোটির খাঁজে অবস্থিত। লঘু মস্তিষ্কটি দুটি গোলার্ধে বিভক্ত থাকে। এই গোলার্ধ দুটি ভারমিস নামে একটি যোজক দিয়ে যুক্ত থাকে।

● কাজ : লঘু মস্তিষ্ক মানবদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

■ (b) পনস বা যোজক : মধ্য মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাশীর্ষকের মাঝখানে অবস্থিত অংশকে পনস বা যোজক বলে।

● কাজ : মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা হল পনসের প্রধান কাজ।




■ (c) সুযুম্নাশীর্ষক : এটি পনসের পরবর্তী অংশ এবং সুষুম্নাকাণ্ডের অগ্রভাগে অবস্থিত। এটি মস্তিষ্কের সবচেয়ে নীচের অংশ।

● কাজ : হৃদস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া, খাদ্যগ্রহণ, লালা ও ঘর্ম নিঃসরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করাই হল সুষুম্নাশীর্ষকের প্রধান কাজ।




Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।