Hello Students,
Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Definition Types Properties Functions of Nerves. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই Ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে স্নায়ুর সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, কাজ | Definition Types Properties Functions of Nerves।
স্নায়ুর সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, কাজ | Definition Types Properties Functions of Nerves
স্নায়ু বা নার্ভ (Nerve) : যোগ কলার আবরণবেষ্টিত স্নায়ুতন্তুকে সাধারণভাবে স্নায়ু বা নার্ভ বলে। স্নায়ুতন্তুর চারদিকে যে যোগকলার আবরণ থাকে তাকে এণ্ডোনিউরিয়াম (endoneurium) বলে। এণ্ডোনিউরিয়াম-আবরণযুক্ত কয়েকটি স্নায়ুতন্তু আবার পেরিনউরিয়াম (perineurium) নামক আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। মোটা ও বড় স্নায়ুর (nerve trunk) ক্ষেত্রে কয়েকটি পেরিনউরিয়াম আবরণযুক্ত স্নায়ুতন্তুর গুচ্ছ একসঙ্গে একটি এপিনিউরিয়াম (epineurium) নামক যোগকলার আবরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। যোগ কলার এই রকম আবরণগুলিতে রক্তবাহ (blood vessels) থাকে।
■ স্নায়ুর সংজ্ঞা (Definition of Nerve) :
রক্তবাহ সমন্বিত এবং পেরিনিউরিয়াম নামক যোগকলার আবরণদ্বারা আবৃত এক বা একাধিক স্নায়ুতন্ত্র বা স্নায়ুতন্তুগুচ্ছকে নার্ভ বা স্নায়ু বলে।
■ স্নায়ুর প্রকারভেদ (Types of Nerves) : স্নায়ু প্রধানত দু’রকমের হয়, যেমন :
(i) অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু এবং
(ii) ইফারেন্ট বা বহির্বাহী স্নায়ু
■ ব্যাখ্যা:-
(i) অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু : যে স্নায়ু গ্রাহক বা রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে স্নায়ু উদ্দীপনা বহন করে নিয়ে যায় তাকে অন্তর্বাহী স্নায়ু বা অ্যাফারেন্ট নার্ভ বলে।
● বৈশিষ্ট্য : এই ধরনের স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য হল, এই যে :
(i) এটি সেনসরি নিউরোন দিয়ে গঠিত।
(ii) এটি স্নায়ু-সংবেদকে গ্রাহক বা রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে নিয়ে যায়।
● উদাহরণ : অপটিক স্নায়ু।
(ii) ইফারেন্ট বা বহির্বাহী স্নায়ু : যে স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারক বা ইফেক্টরে সাড়া (বা নির্দেশ) বহন করে নিয়ে আসে, তাকে বহির্বাহী স্নায়ু বা ইফারেন্ট নার্ভ বলা হয়।
● বৈশিষ্ট্য : এই ধরনের স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য হল :
(i) এটি মোটর নিউরোন দিয়ে গঠিত।
(i) এটি স্নায়ু – সংবেদকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারক বা ইফেক্টরে বহন করে নিয়ে যায়।
● উদাহরণ : অকিউলোমোটর স্নায়ু।
■ স্নায়ুর কাজ (Functions of Nerve) : স্নায়ুর প্রধান কাজ হল :
(i) বিভিন্ন জ্ঞানেন্দ্রিয় থেকে অনুভূতি গ্রহণ করা।
(ii) অন্তর্বাহী স্নায়ুর মাধ্যমে অনুভূতিকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পাঠানো।
(iii) বহির্বাহী স্নায়ুর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশকে কারক অঙ্গে বয়ে নিয়ে আসা।
(iv) বিভিন্ন পেশির সংকোচন ও প্রসারণে সাহায্য করা।
■ নিউরোন ও স্নায়ুর মধ্যে সম্পর্ক :
(i) নিউরোন স্নায়ুতন্ত্রের একক। অন্যদিকে নার্ভ বা স্নায়ু অসংখ্য নিউরোনের অ্যাক্সনের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
(ii) অন্তর্বাহী স্নায়ু সেনসরি নিউরোন দিয়ে এবং বহির্বাহী স্নায়ু মোটর নিউরোন নিয়ে গঠিত হয়।
(iii) নিউরোন স্নায়ু – স্পন্দন পরিবহন করে। আবার স্নায়ুর কাজও স্নায়ু – স্পন্দন পরিবহন করা।
নিউরোন তাই স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক এবং নিউরোন ও স্নায়ুর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কটি হল কোষ ও কলার।
■ নাৰ্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ুগ্রন্থি কাকে বলে? (Nerve Ganglion):
কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলি মিলিত হয়ে যে গ্রন্থি সৃষ্টি করে তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন (Nerve Ganglion) বলে। স্নায়ুগ্রন্থি থেকে স্নায়ুর উৎপত্তি হয়।
❏ স্নায়ুগ্রন্থির সংজ্ঞা : কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলি একত্রিত হয়ে যে গ্রন্থির সৃষ্টি করে তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা গ্যাংলিয়ন বলে। অনেকগুলো স্নায়ুকোষ একত্রিত হওয়ার ফলে গ্যাংলিয়নকে কিছুটা স্ফীত দেখায়।
❏ স্নায়ুগ্রন্থির কাজ :
(A) স্নায়ুগ্রন্থি থেকে স্নায়ুর উৎপত্তি হয়;
(B) নিউরো-সিক্রেসন্ (neuro-secretion) নামক রস ক্ষরণ করে স্নায়ুতন্ত্রকে সিক্ত রাখা।
(C) অনেক সময় বিশেষ করে অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে স্নায়ুগ্রন্থি থেকে নিউরো-সিক্রেটরি হরমোন ক্ষরিত হয়।
❏ General Knowledge – Click Here
❏ Job Notification – Click Here
❏ Online Mock Test Quiz – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।