The great process of soil formation মৃত্তিকার গঠনের 3টি প্রক্রিয়া

process of soil formation: This process is called regalith when rocks that have been crushed or disintegrated as a result of climate change create a loose layer on the crust. This regalith has been transformed into soil by various complex processes over a long period of time. The processes of soil formation can be mainly divided into three parts. process of soil formation is a great process of nature.

মাটি গঠনের প্রক্রিয়াগুলি (The process of soil formation) :

আবহবিকারের ফলে বিচূর্ণিত বা বিয়ােজিত শিলাসমূহ যখন ভূত্বকের ওপর শিথিল স্তরের সৃষ্টি করে তখন এই প্রক্রিয়াকে রেগােলিথ বলে। এই রেগােলিথ বহুকাল ধরে বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে মাটিতে পরিণত হয়। মাটি গঠনের প্রক্রিয়াগুলিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

(1) প্রাথমিক প্রক্রিয়া:

পৃথিবীর যাবতীয় মাটির সৃষ্টিতে প্রাথমিক প্রক্রিয়া কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়া চার প্রকার। যথা-

( 1 ) সংযােজনঃ এই প্রক্রিয়ায় সূর্যতাপ, জল, অক্সিজেন এবং বিভিন্ন জৈব ও খনিজ পদার্থ মাটির ওপরের স্তরে যুক্ত হয়।

( ii ) অপসারণ বা চূর্ণঃ এই প্রক্রিয়ায়, বাষ্পীভবনের ফলে জল এবং ভূমিক্ষয়ের ফলে মাটি অপসারিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া মাটির মধ্যেকার জৈব পদার্থ জারিত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড সৃষ্টি হয় এবং এই কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুতে মিশে যায়।

( iii ) রূপান্তরঃ এই প্রক্রিয়ায় মাটির মধ্যস্থিত খনিজকণা ও অন্যান্য জৈব পদার্থের ভৌত রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।

( iv ) স্থানান্তরঃ এই প্রক্রিয়ায় খনিজ পদার্থ ও জৈব পদার্থ জলে দ্রবীভূত হয় বা ভাসমান অবস্থায় মাটির গভীর অংশে স্থানান্তরিত হয়।

(2) মৌলিক প্রক্রিয়া:

এই প্রক্রিয়া চার প্রকার। যথা –

( i ) হিউমিফিকেশনঃ বিভিন্ন মৃত উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ মাটির মধ্যস্থিত সুক্ষ্ম জীবাণুর দ্বারা বিয়ােজিত হয়ে কালাে রঙের এক ধরনের জটিল জৈব পদার্থের সৃষ্টি করে। একে হিউমাস বলে।

( ii ) খনিজিকরণঃ এই প্রক্রিয়ায় লােহা, ফসফরাস প্রভৃতি হিউমাস গঠনকারী খনিজ পদার্থগুলি পুনরায় মাটিতে মিশে যায়।

( iii ) এভিয়েশনঃ এই প্রক্রিয়ায় মাটিতে অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার খনিজ পদার্থ ও লবণ বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে বা জলে ভাসমান অবস্থায় মাটির ওপরের স্তর থেকে নীচের স্তরে অপসারিত হয়।

( iv ) ইলুডিয়েশনঃ এই প্রক্রিয়ায় মাটির ওপরের স্তর থেকে যান্ত্রিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় দ্রবীভুত খনিজ পদার্থ ও লবণ অপসারিত হয়ে মাটির নীচের স্তরে জমা হয়।

( ৩ ) নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া:

এই প্রক্রিয়া প্রধানত ছয় প্রকার। যথা –

( i ) ল্যাটেরাইলেনঃ এই প্রক্রিয়ায় মাটির ওপরের স্তর থেকে বিভিন্ন ক্ষারকীয় দ্রবণীয় পদার্থ, যেমন –ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সিলিকা প্রভৃতি অন্যত্র অপসারিত হয়। কিন্তু মাটির মধ্যস্থিত লােহা, অ্যালুমিনিয়াম অঙ্গাইড একই স্থানে থেকে যায়।

( ii ) পডসলাইজেশনঃ এই প্রক্রিয়ায় মাটির ওপরের স্তর থেকে বিভিন্ন দ্রবণীয় ক্ষারকীয় পদার্থ, যেমন – -ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম প্রভৃতি ধৌত প্রক্রিয়ায় অন্যত্র অপসারিত হয় এবং মাটির ওপরের ভর সিলিকা সমৃদ্ধ হয়। এটি মূলত শীতল নাতিশীতােষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়।

( iii ) স্যালিনাইজেশনঃ এই প্রক্রিয়ায় মাটিতে দ্রবীভূত লবণ কৈশিক ক্রিয়ার মাধ্যমে মাটির ওপরের স্তরে চলে আসে এবং জলের বাষ্পীভবনের ফলে এই লবণ মাটির ওপর জমা হয়। প্রধানত মরু অৰূলে এই প্রক্রিয়ায় মাটি গঠিত।

( iv ) গ্লেইজেশনঃ জলাভূমি অৰূলে মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে বলে সেখানে বিজারণ প্রক্রিয়ায় যে মাটি গঠিত হয় তাকে গ্নেইজেশন বলে।

( v ) ক্যালসিফিকেশনঃ নাতিশীতােষ্ম তৃণভূমি বা মরুপ্রায় অসূলে এই প্রক্রিয়ায় পোেক্যাল মাটির সৃষ্টি হয়।

( vi ) অ্যালকালাইজেশনঃ এই প্রক্রিয়ায় মরু অ ৭ লের মাটিতে সােডিয়াম লবণ জমা হয়।

Leave a comment