বাঙালির ক্রীরাসংস্কৃতি প্রশ্নোত্তর | Bengali Sports Culture Question Answer

Hello Students,


Wellcome to edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা নিয়ে এসেছি Bengali Sports Culture Question Answer. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বাঙালির ক্রীরাসংস্কৃতি প্রশ্নোত্তর | Bengali Sports Culture Question Answer। এই বাঙালির ক্রীরাসংস্কৃতি প্রশ্নোত্তর | Bengali Sports Culture Question Answer || এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘



বাঙালির ক্রীরাসংস্কৃতি প্রশ্নোত্তর | Bengali Sports Culture Question Answer

  1. ব্রতচারীর উদ্ভাদক হলেন – 

(A) নবগোপাল মিত্র
(B) প্রিয়দারঙ্গন মিত্র
(C) প্রিয়নাথ বসু
(D) গুরুসদয় দত্ত

Ans: (D) গুরুসদয় দত্ত

  1. নগেন্দ্রপ্রসাদ কোন ক্লাবে হকি এবং টেনিস খেলার সূচনা করেন ?

(A) টাউন ক্লাব 
(B) স্পোটিং ক্লাব
(C) শোভাবাজার ক্লাবে 
(D) ন্যাশনাল ক্লাবে
Ans: (B) স্পোটিং ক্লাব

  1. ‘ভলিবল‘ খেলাটির আবিষ্কারক কে ?

(A) উইলিয়াম জি. মর্গান
(B) জন কোচরেন 
(C) শ্রীভাই নুরুলকার
(D) রানী লক্ষীবাই

Ans: (A) উইলিয়াম জি. মর্গান

  1. কার নেতৃত্বে পাচ্ছিমবঙ্গে খো খো খেলা শুরু হয় ?

(A) ফনী ভট্টাাচার্য্য 
(B) দিলীপ রায়
(C) ভূপতি মজুমদার
(D) বাঘা সোম

Ans: (C) ভূপতি মজুমদার



  1. নারায়ণচন্দ্র ঘোষ পচ্ছিম্বঙ্গে কোন খেলার প্রসারে স্থান গ্রহণ করেন ?

(A) তীরন্দাজি
(B) কাবাডি
(C) ব্যাডমিন্টন
(D) ব্রতচারী

Ans: (B) কাবাডি

  1. ১৮৯৩ সালে আই.এফ.এ শিল্ড প্রটিসোগিতায় প্রথম যে ক্লাবটি অংশগ্রহণ করার অধিকার পায় – 
    (A) ডালহৌসি ক্লাব
    (B) প্রেসিডেন্সী ক্লাব
    (C) ক্যালকাটা এফ.সি ক্লাব 
    (D) শোভাবাজার ক্লাব

Ans: (D) শোভাবাজার ক্লাব

  1. বাংলা ক্রিকেটার ধাত্রীগৃহ – 

(A) স্পোটিং ইউনিয়ন ক্লাব
(B) ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব
(C) শোভাবাজার ক্লাব
(D) মোহনবাগান ক্লাব

Ans: (A) স্পোটিং ইউনিয়ন ক্লাব

  1. প্রথম এশীয় ব্যাক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্ব লাইট হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ কে জেতেন ?

(A) গোবর গুহ
(B) ফনীন্দ্রকৃষ্ণ গুপ্ত
(C) রাখালচন্দ্র ঘোষ
(D) দারা সিং

Ans: (A) গোবর গুহ

  1. ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ব্যাক্তিত্ব হলেন ?

(A) শ্যামসুন্দর মিত্র
(B) কুমারেশ সেন
(C) নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী
(D) যতীন্দ্রচরণ গুহ
Ans: (C) নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী

রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:-

  1. রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে ? এই খেলায় বাঙলির সাফল্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 
    অথবা, ‘দাবা’ খেলায় আমাদের রাজ্য একটি বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে– আলোচনা করো। 

Ans: ‘রামায়ণ’ মহাকাব্যের কাহিনিসূত্রে বলা চলে রাবণের স্ত্রী মন্দোদরিই দাবা খেলার স্রষ্টা।
 ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে জন কখরেনের উদ্যোগে ‘ক্যালকাটা চেস ক্লাব’ তৈরি হয়। ভারতের প্রাচীনতম এই দাবা খেলার ক্লাব বাঙালির দাবাচর্চাকে বিশ্বগামী করে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশন’ (১৯৫৯) রাজ্য দাবার উন্নতির জন্য জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করে। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারই এ প্রতিযোগিতায় প্রাণকৃয় কুণ্ডুর জয় দাবায় বাঙালির স্বীকৃতির প্রবাহকে ধারাবাহিক করে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ছয়জন গ্র্যান্ডমাস্টার, ন’জন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার, দু’জন মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার, একজন মহিলা ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার রয়েছেন। তিন বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দিব্যেন্দু বড়ুয়া, মাত্র উনিশ বছরে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া সূর্যশেখর গাঙ্গুলি (যিনি টানা ছয় বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড করেছেন, বিশ্বনাথন আনন্দের সেকেন্ড হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় কাজ করেছেন), সন্দীপন চন্দ, নীলোৎপল দাস, দীপ সেনগুপ্ত, সপ্তর্ষি রাজচৌধুরী, মেরী অ্যান গোমস, সহেলি ধর বড়ুয়া, নিশা মেহেতা প্রমুখ দাবা খেলায় বিশ্বে বাংলা তথা বাঙালির মুখোজ্জ্বল করেছেন এবং করে চলেছেন। 

  1. বাঙালর ক্রীড়াসংস্কৃতির ধারায় ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলির অবদান লেখো। 
    অথবা, ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান লেখো। অথবা, বিশ্বক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলির অবদান লেখো। 
    অথবা, আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন এমন একজন বাঙালি ক্রীড়াবিদের কৃর্তিত্বের পরিচয় দাও। 

Ans: ক্রিকেটের জগতে বাঙালি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটি পরিচিত মুখ। ক্রিকেটপ্রেমী প্রতিটি মানুষের কাছেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। এই বাঁহাতি ক্রিকেটার ভারতের জাতীয় দলে অধিনায়কের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই বিচক্ষণ ব্যক্তির অধিনায়কত্বে ভারত মোট ৪৯ টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ২১ টি ম্যাচে জয়লাভ করে। তাঁর হাত ধরেই ভারত ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ফাইনালে পৌঁছায়। আগ্রাসী মনোভাব অধিনায়ক সৌরভের চারত্রিক গুণ। তরুণ ক্রিকেটারদের কেরিয়ারের উৎকর্ষসাধনে তিনি বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিলেন। 
  অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শুধু বাংলা এবং ভারতের নয়, বিশ্বক্রিকেটের গর্ব। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি এগারো হাজারেরও বেশি রানের মালিক। খ্যাতিসম্পন্ন এই ব্যক্তিত্ব ফুটবল খেলা দিয়ে জীবন শুরু করেছেন, কিন্তু জনপ্রিয়তার অধ্যায় রচনা করেছেন ক্রিকেটে। তিনি দেহ – মনের আন্তরিক চেষ্টায় অতি দুরবস্থার মধ্যেও ভারতকে ক্রিকেট খেলায় আলোকিত মানচিত্রে এনে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি সারাজীবনে ১১৩ টি টেস্ট ম্যাচ, ৩১১ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ২৫৪ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। প্রতিটি ম্যাচেই তাঁর পারদর্শিতা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের টেস্টে মোট রান ৭২১২, একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মোট রান ১১৩৬৩, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোট রান ১৫৬৮৭। এই প্রভূত রান বাংলা এবং বাঙালির ঐশ্বর্য। ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলকে জনপ্রিয়তার উচ্চশিখরে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে মডেল হয়ে উঠেছেন। সৌরভ কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, বোলার হিসেবেও কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তিনি টেস্ট ম্যাচে ৩২ টি উইকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ টি উইকেট লাভ করেছেন। পারদর্শী, বিচক্ষণ, উচ্চাবিলাসী এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্বকে ভারত সরকার ১৯৯৮ সালে ‘অর্জুন পুরস্কার‘ এবং ২০০৪ সালে ‘পদ্মশ্রী‘ সম্মান প্রদান করে।

  1. প্রথম বাঙালি সাঁতারু কে ? সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাঙালির অবদান লেখো। 
    অথবা, বাংলার দু’জন সাঁতারুর পরিচয় দাও।
     
    Ans: প্রথম বাঙালি সাঁতারু পুরুলিয়াবাসী মিহির সেন। ভারতের ক্রীড়াচর্চার ইতিহাসে সাঁতার প্রতিযোগিতা বিশেষ স্থান দখল করে আছে। স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সুইমিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া‘ গঠিত হয়। অবশ্য এর অনেক আগেই কলকাতার প্রথম ভারতীয় সাঁতারু ডিডি মুলজি আমস্টারডাম অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন। সাঁতার চর্চার বিশেষভাবে আগ্রহ দেখিয়েছেন পুরুলিয়ার মিহির সেন ও। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে মারফত এক মহিলার ইংলিশ চ্যানেল পার করার খবর পাঠ করেন। এই সম্মান লাভের জন্য তিনি ইংল্যান্ডে সাঁতার শিখতে শুরু করেন। তিনিই প্রথম বাঙালি তথা ভারতীয় যিনি প্রথম ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছেন। এই অবিসংবাদিত কৃতিত্বের জন্য ভারত সরকার তাকে ১৯৫৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করে। 
      পুরুষদের পাশাপাশি বাঙালি মহিলারাও সাঁতারে বিশেষ অবদান দেখিয়েছেন। বাংলার মেয়ে আরতি সাহা কেবল ভারতের নয়, সমগ্র এশিয়ার মেয়েদের মধ্যে প্রথম ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছেন। এই সাফল্যের সম্মানস্বরূপ ভারত সরকার আরতি সাহাকে ১৯৬০ সালে ‘পদ্মশ্রী‘ উপাধিতে ভূষিত করে। আরতি সাহার পূর্বে গোটা বিশ্বে মাত্র চব্বিশ জন মহিলা ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করতে পেরেছেন। কিন্তু তাঁরা মাত্র নয়টি দেশ থেকে এসেছিলেন। এই হিসাব থেকে স্পষ্ট হয় আরতি সাহার সময়েও বিশ্বের উন্নত দেশগুলিও সাঁতার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে আরতি সাহার বিরাট সাফল্য ভারতকে বিশ্ববাসীর চোখে নতুন করে উপস্থাপিত করে । আরতি সাহার পরে ভারতের অনেক মহিলাই ইংলিশ চ্যানেল বিজয়িনীর শিরোপা পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনিতা সুদ, বুলা চৌধুরী, রেশমি শর্মা, রিচা শর্মা উল্লেখযোগ্য। 



Also Read:- Daily Current Affairs in Bengali

Also Read:- Daily Current Affairs in English

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

-ঃআরও পড়ুনঃ–

🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here

🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here

🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here

🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here

🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴  ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here 

🔵🔴  দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।