গান্ধীজির ডান্ডি অভিযান Great Gandhiji’s Dandi campaign- 1930 খ্রিস্টাব্দ

Gandhiji’s Dandi campaign : On 12 March 1930, Gandhiji set out for Dandi, a coastal town in Gujarat, 240 miles from the Sabarmati Ashram, with 6 of his 7 (79 sectarian) faithful Satyagrahis. A large number of Satyagrahis accompanied them on the journey. There was great excitement and excitement everywhere. Foreign journalists also took part in the march to cover the operation. News of this historic expedition began to appear daily in various newspapers around the world. So Gandhiji’s Dandi campaign is a great campaign.

গান্ধীজির ডান্ডি অভিযান (Gandhiji’s Dandi campaign):

গান্ধিজি আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করতে প্রথমেই লবণ আইন ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি জানতেন এর ফলে দেশের আপামর জনসাধারণ এই আন্দোলনে অংশ নিতে উৎসাহিত হবে। সেসময় ভারতীয়দের লবণ তৈরি করা ছিল আইনত দণ্ডনীয়।

ডান্ডি অভিযানের সূচনাঃ (Gandhiji’s Dandi campaign)

১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই মার্চ গান্ধিজি তার ৭৮ ( মতান্তরে ৭৯ ) জন বিশ্বস্ত সত্যাগ্রহীকে নিয়ে সবরমতী আশ্রম থেকে ২৪০ মাইল দূরে অবস্থিত গুজরাটের সমুদ্রোপকূলের ডান্ডি নামক স্থান অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। যাত্রাপথে বিপুল সংখ্যক সত্যাগ্রহী তাদের সঙ্গে যােগ দেন । সর্বত্র ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। এই অভিযানের খবর সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিদেশি সাংবাদিকরাও এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই অভিযানের সংবাদ প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে।

লবণ আইনভঙ্গঃ

অবশেষে ২৪ দিন পর ৫ ই এপ্রিল তারা ডান্ডিতে পৌঁছােন। পরদিন ৬ ই এপ্রিল গান্ধিজি নিজের হাতে সমুদ্রের জল থেকে লবণ তৈরি করে লবণ আইন ভঙ্গ করেন।

আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনাঃ এইভাবে আইন অমান্য আন্দোলনের প্রথম পর্ব শুরু হয়।

আন্দোলনের প্রসারঃ গন্ধিজি কর্তৃক লবণ আইন ভঙ্গ করার পরপরই সারা দেশের সমুদ্রোপকূলবর্তী অঞ্জলগুলিতে লবণ আইন ভঙ্গ করা হতে থাকে।

বিভিন্ন আইন ভঙ্গঃ শুধু লবণ আইন – ই নয়, নিষিদ্ধ প্রচার পুস্তিকা পাঠ ও প্রচার করা, বিলাতি দোকানে পিকেটিং করা, ১৪৪ ধারা অমান্য করে সভাসমিতি করা, কর বন্ধ প্রভৃতি বিভিন্নভাবে আইন অমান্য করা হয়।

মহিলাদের ব্যাপক অংশগ্রহণঃ

গান্ধিজি মহিলাদের চরকায় সুতাে কাটা ও বিলাতি দ্রব্যের দোকানে পিকেটিংয়ে যােগ দিতে বলেন। মহিলারা দলে দলে এগিয়ে আসেন এবং কারাবরণ করেন। মহাত্মা গান্ধি এরপর সুরাটের ধরসানা নামক স্থানের সরকারি লবণ গােলা দখল করতে মনস্থির করেন। এই সংবাদে গান্ধিজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে আব্বাস তায়েবজি এই দায়িত্ব গ্রহণ করলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তখন এখানে সত্যাগ্রহ আন্দোলন চালিয়ে যান সরােজিনী নাইডু।

ব্যাপক প্রসার লাভঃ

লবণ আইন অমান্য আন্দোলন ক্ৰমে ভারতের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার তমলুক, কাথি, বিহারের মুঙ্গের, ভাগলপুর, পাটনা, পাঞ্জাবের লাহাের, রাওয়ালপিন্ডি, মাদ্রাজের মাদ্রাজ, মাদুরাই, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে এই আন্দোলন ব্যাপকভাবে পরিচালিত হয়।

খান আবদুল গফফর খানঃ

ভারতের উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন একনিষ্ঠ গান্ধিবাদী ও সীমান্ত গান্ধি নামে সুপরিচিত খান আবদুল গফফর খান। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ খােদা – ই – খিদমগার ’ ( ঈশ্বরের সেবক ) বা লাল কোর্তা বাহিনীর সদস্যরা সম্পূর্ণ অহিংসভাবে ইংরেজদের প্রবল দমননীতি সত্ত্বেও আইন অমান্য আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

আরও পডুনঃ অসহযোগ আন্দোলন

Leave a comment