The great Poet Sukanta Bhattacharya (1333- 1354 বঙ্গাব্দ) কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য

Poet Sukanta Bhattacharya is a great poet. It does not mean that the memorable poets of Bangla poetry chased me. Some people do not judge loved ones, all the valves. From inside, we have awarded the mind of the heart, we fest the dearness. From that side, the poet that is near the soil, the oppressed destitute people that will be in bed for him in bed, it is normal.

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য (Poet Sukanta Bhattacharya)

ভিতর থেকে যেটি হৃদয় – মনকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দেয়,তাকেই আমরা প্রিয়ত্বের অভিধায় ভূষিত করি। সেদিক থেকে মাটির কাছাকাছি যে কবি, নিপীড়িত নিঃস্ব মানুষের শরিক যে, তাঁর জন্যে আমার তরুণহৃদয়ে শ্রেষ্ঠ আসনটি বিছানাে থাকবে,এটিই স্বাভাবিক।

সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম ও বংশ পরিচয় ( poet Sukanta Bhattacharya’s birth and family identity) :

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম ১৩৩৩ সালের ৩০ শ্রাবণ। স্থান দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে মাতামহ সতীশচন্দ্র ভট্টাচার্যের বাড়ির দোতলায়। পিতা নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য,মাতা সুনীতি দেবী। কবির শৈশবজীবন কাটে বাগবাজারের নিবেদিতা লেনের বাড়িতে। পরবর্তী জীবন অতিবাহিত হয় বেলেঘাটায়। বয়সের অঙ্ক দশের কোঠায় পৌঁছােবার আগেই কবির কাব্যচর্চার উৎস যায় খুলে। স্কুলজীবনেই তিনি অসাধারণ কবিখ্যাতির অধিকারী হন। ১৯৪১-৪২ – এ যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুন জ্বলছে,কবি সুকান্ত তখন মার্কসীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওই মতাদর্শে নিজেকে উৎসর্গ করেন।

Poet Sukanta Bhattacharya
Poet Sukanta Bhattacharya

পঞ্চাশের মন্বন্তরে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সেবায় আত্মনিয়ােগ করেন তিনি। কিশাের বাহিনী’র সংগঠক ছিলেন সুকান্ত,এবং স্বাধীনতা’পত্রিকার কিশােরবিভাগের সম্পাদনার দায়িত্বভারও অর্পিত হয় তাঁর উপর। প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসবার পরের বছর কবি যক্ষ্মারােগে আক্রান্ত হন এবং ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ২৯ বৈশাখ মাত্র একুশটি বসন্ত পার করে বাংলা কাব্য সাহিত্যের একটি উজ্জ্বল প্রতিভা সবে পাপড়ি মেলে ফুটে ওঠবার মুখে অকালে ঝরে যায়।

সুকান্ত ভট্টাচার্যের রচনা(poet Sukanta Bhattacharya’s Composition) :

তাঁর বয়সের স্বল্পতা আর রচনাকালের সংকীর্ণ পরিসরের তুলনায় তাঁর সৃষ্টিপ্রাচুর্য ও বৈচিত্র্য লক্ষণীয়।তাঁর মুদ্রিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ছাড়পত্র’ (১৩৫৪ ) প্রকাশিত হয় মৃত্যুর অব্যবহিত পরে। তারপর প্রকাশিত হয়।কাব্যগ্রন্থ ‘পূর্বাভাস’ (১৩৫৭ ) ও ‘ঘুম নেই’ ( ১৩৫৭ ), ছড়ার বই ‘মিঠেকড়া’ (১৩৫৮ ) নাটিকা সংকলন ‘অভিযান'( ১৩৬০ ), গল্পের অনুবাদ ও নাটিকা – সংগ্রহ ‘হরতাল’ ( ১৩৬৯ ), গানের সংকলন গীতিগুচ্ছ ( ১৩৭২ )।

জনতার কবি (poet Sukanta Bhattacharya People’s poet) :

সুকান্ত ব্যক্তিস্বভাবে ছিলেন মুখচোরা লাজুক,নির্জন নিঃসঙ্গ জীবনের প্রত্যাশী, অথচ তিনি জীবনযুদ্ধের চির সৈনিক, ‘কিশাের বাহিনীর কান্ডারি’ , মিছিল জনসভার নিত্যসঙ্গী, কলকোলাহলের কবি।গণজীবন তার তীর্থক্ষেত্র।‘আমি কবি বলে নির্জনতা-প্রিয় হব,আমি কি সেই ধরনের কবি? আমি যে জনতার কবি হতে চাই।জনগণের হৃদয়েই তাে তাঁর অক্ষয় আসন বিছানাে।

যুগসন্ধিকালের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যঃ

যুগসন্ধিকালের কবি সুকান্ত। কৈশাের থেকে যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই যুদ্ধ , বন্যা,দুর্ভিক্ষ,ঝড় একের পর এক এসে তাঁর মনকে মথিত করে। কিন্তু কবি হিসেবে তার সৌভাগ্য,তিনি সেই অতীব দুর্দিনেও পেয়েছিলেন বিশ্বাসের দৃঢ় ভূমি। যুগ যন্ত্রণায় বিধ্বস্ত মানুষের গদ্যময় জীবন কাঠিন্য কবিকে করেছে ললিতশােভন কাব্যের প্রতি বিমুখ।কবি দেখেছেন ক্ষুধিত মানুষের কাছে পূর্ণিমার চাঁদ ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের প্রতীকী এক টুকরাে ঝলসানাে রুটির অতিরিক্ত কিছু হতে পারে না।

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমা – চাঁদ যেন ঝলসানাে রুটি।”

দেশপ্রেমিক সুকান্ত ভট্টাচার্য (Patriot poet Sukanta Bhattacharya) :

দেশ তখন পরশক্তি পদানত।শােষণে – শাসনে ক্লিষ্ট। এ পরাধীনতা,এ দাসত্ব জাতির কলঙ্ক,জাতীয় অবমাননা। কবি তাই মর্মবিদ্ধ,তার হৃদয়ের গভীর গহনে বিপ্লব আর বিদ্রোহের আগুন অনির্বাণ। আবার পরাধীন স্বদেশের কোটি কোটি মানুষের ঔদাস্য,আলস্য ও নিষ্ক্রিয়তায় কবি বিস্মিত । ম্রিয়মাণ সত্তার উজ্জীবনে কবি ডাক দেন

“চলাে,শুকনাে হাড়ের বদলে
সন্ধান করি তাজা রক্তের,
তৈরি হােক লাল আগুনে ঝলসানাে আমাদের খাদ্য।”

ফ্যাসিবাদ,সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কবি ছিলেন সােচ্চার।সমাজব্যবস্থার নব রূপায়ণে,কলুষমুক্ত প্রশান্ত পরিবেশ রচনায় কবির ছিল একান্ত অভিলাষ সাম্যবাদী কবির কামনা ছিল সামাজিক অসাম্য ও বৈষম্যের অবসান।নিরন্তর আঘাতে মানবসমাজের ওই অপশক্তি ও অভিশাপকে নির্মূল করে দুনিয়াকে সুন্দরতর করবার স্বপ্ন ছিল তাঁর। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযােগ্য করে যাব আমি।

উপসংহারঃ

কবির বুকে থাকে কত আশা,কত স্বপ্ন, কত কিছু করবার অভিপ্রায়,কিন্তু নিষ্ঠুর মৃত্যু অনেক সময় তা আর পূর্ণ করতে দেয় না। কবি সুকান্তের ক্ষেত্রে এ অদৃষ্ট বিড়ম্বনা অক্ষরে অক্ষরে সত্য।কবি বুদ্ধদেব বসু অনুতাপ করে বললেন, ‘কবি হবার জন্যই জন্মেছিল সুকান্ত,কবি হতে পারার আগে তার মৃত্যু হল’। অর্থাৎ কবিপ্রতিভার পূর্ণ বিকাশের আগেই তার মহাপ্রয়াণ হল। এত বড়াে একটা ক্ষতির ব্যথা কেবল বাঙালির নয়,সারা দুনিয়ার। তাই তাঁকে নিয়ে আর – এক সাহিত্যস্রষ্টার খেদোক্তি, দুঃখ কিংবা অভিমানভরা ক্ষোভ –

“আমরা চাঁদা তুলে মারব সব কীট।
কবি ছাড়া আমাদের জয় বৃথা।
কে গাইবে জয়গান?
বসন্তের কোকিল কেশে কেশে,রক্ত তুলবে
সে কীসের বসন্ত ?”

আরও পড়ুনঃ সত্যজিত রায় সম্পর্কে

Leave a comment