প্রবন্ধ রচনা-শীতের সকাল || Winter morning in bengal

Hello Students,


Wellcome to www.edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা,  edu.bengaliportal.com আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি Winter morning in bengal. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন  CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রবন্ধ রচনা-শীতের সকাল || Winter morning in bengal ||. এই প্রবন্ধ রচনা-শীতের সকাল || Winter morning in bengal || টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

[pdf টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে Click করুন]

প্রবন্ধ রচনা-শীতের সকাল || Winter morning in bengal

রাত্রির কালো পর্দা সরিয়ে একটি রৌদ্র-দীপ্ত দিনকে উপহার স্বরূপ শ্যামা-ধরিত্রীর হাতে তুলে দেয় যে, সে ‘ঊষা — তপনের দূতী, অরুণ রমণী। ঊষার আবির্ভাব রাত্রির বিদায় ও দিনের শুভসূচনার সন্ধিক্ষণে। তার পিছনে পিছনে সপ্ত হরিতাশ্বে চড়ে সূর্যদেব আবির্ভূত হন উদয়াচলে। সূচিত হয় প্রভাত — ঊষার পরবর্তী পর্যায়, যার নাম সকাল।

প্রভাতের আছে সদ্য জাগরণের স্নিগ্ধপ্রশান্তি, আছে শুভ্র শুচিতা, আছে তরুণ অরুণের সোনা হাসিতে উজ্জ্বল কর্মচঞ্চল প্রাণের অবাধ লীলা। অন্যান্য ঋতুর সকালের এই সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি থেকে শীতের সকালের বিশেষত্ব একটু ভিন্ন প্রকৃতির। শীতের সকালে মাঠ ঘাট-দিগন্ত কুয়াশার হালকা ওড়নায় ঢাকা থাকে। কুয়াশায় ও শিশিরে ভেজা গাছগুলি হিহি করে কাঁপতে থাকে উত্তুরে হিমেল বাতাসের হাড়কাঁপানো শীতে। সূর্যোদয় সত্ত্বেও তার রশ্মি কুয়াশার ওড়না ভেদ করে পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়তে পারে না। সর্বত্র বিরাজ করে শীতজর্জর জড়তা, কুয়াশাচ্ছন্ন ম্লান বিষণ্ণতা।

প্রকৃতির তখন সর্বরিক্ত উদাসী, বৈরাগী বেশ। সূর্যালোক কুয়াশার জাল ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলার পর প্রকৃতি ধারণ করে ভিন্ন মূর্তি। পাতায় পাতায় ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দু ঝলমল করে মুক্তোকণার মতো। কবোঝ রোদে ডানা ভিজিয়ে পাখিরা গানের জলসা বসায় প্রকৃতির মুক্তাঙ্গনে। সর্ষের হলুদ ফুলে সাতরঙা প্রজাপতি রঙের বাহার ছড়ায়। গাঁদা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, চন্দ্রমল্লিকা ও মরশুমি ফুলের ঝকঝকে হাসিতে উদাসী সকালের মুখে ফোটে হাসি। ন্যুব্জপৃষ্ঠ হয়ে যে মাছরাঙা এতক্ষণ বসেছিল একপায়ে ভর দিয়ে বুড়োর মতো জড়ভরত হয়ে, সে আনন্দে শিস দিয়ে শিকারের সন্ধানে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলের বুকে। অর্থাৎ রঙে- গানে-কলতানে ভরে প্রকৃতি-অঙ্গন।

শীতের সকালে কৃষকের কুটির-দ্বারে গিয়ে দাঁড়ালে দেখা যায়, সকাল হতে-না-হতে বিছানার আরাম ছেড়ে কৃষক ও কৃষকবধূ যে যার কাজে হাত দিয়েছে। তাদের শীতনিবারণের গরম পোশাক নেই, কেবল পরা-কাপড়ের আঁচলখানি গায়ে জড়িয়ে শীতে কাঁপতে কাঁপতে কৃষক চলেছে মাঠে, আর কৃষকবধূ করছে গৃহস্থালির কাজ। অর্ধনগ্ন বালক-বালিকা কুটির-আঙিনায় বসে রোদের প্রত্যাশায় উন্মুখ, কিংবা ‘আয় রোদ্দুরে ধেয়ে’ বলে সমস্বরে শীতনাশী রৌদ্রকে করছে আহ্বান।

কৃষকের দ্বার থেকে গ্রামের কুটিরশিল্পীর আঙিনায় এসে দাঁড়ালে, সেখানেও দেখা যাবে একই দৈন্য- চিত্র, জীবিকা অর্জনের দুরন্ত তাগিদে কৃষকের মতো কষ্ট স্বীকার ও কর্মোদ্যোগ। অবশ্য গ্রামের অবস্থাপন্ন বাড়ির পৃথক চিত্র — লেপ-কম্বলের উম্মু আবেশ ছেড়ে উঠি উঠি করেও ওঠা হয় না। বৈষ্ণুবের আখড়ায় চলে খোল-করতাল বাজিয়ে প্রভাতী নামসংকীর্তন। কোথাও বা খেজুর রসে জ্বাল দেওয়া হয়। চিড়া মাসি তখনও চিড়া কোটে৷ গঞ্জের ঘাটে তখনও নৌকার পাটাতনে নিষ্কর্মা হয়ে পড়ে থাকে দাঁড় পাল-বৈঠা শিশির ও কুয়াশা সিক্ত হয়ে।

গ্রামের চেয়ে শহরে শীতের দাপট কম। পথের ধারে ফুটপাতবাসীরা ছেঁড়া কাঁথায় বা ছেঁড়া কাপড়ে শরীর ঢেকে বসে থাকে জবুথবু হয়ে। কেউ বা সামান্য খড়কুটো জ্বালিয়ে গরম করে হাতপা। বাজারে শাকসবজির ব্যবসায়ীরা পণ্যসম্ভার সাজিয়ে বসে খুব সকালে। ভোরেই উনুনে আগুন দেওয়া হয় চায়ের দোকানে। তেলেভাজা, কচুরি ও ঝুরিভাজার গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা হাত দেয় সংসারের কাজে, কর্তা থলি নিয়ে রওনা হন বাজারের পথে। ধনী অভিজাত বাড়িতে শীতের সকালের চিত্র অন্যরূপ। সেখানে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বা লেপ- কম্বলের উম্মু আরামে শীতের পরিপূর্ণ আস্বাদন। কাক – ভোর থেকে চলমান যানবাহনে পথ হয় কর্মচঞ্চল ও শব্দমুখর।

কলকারখানা ও বস্তি অঞ্চলেও শীত তার উদ্যত থাবা পেতে বসে। সেখানে কাজের চাকা যন্ত্রের চাকার মতো সদা ঘূর্ণায়মান। শীত গ্রীষ্ম বর্ষার দিকে তাকাবার অবকাশ কোথায় ? দিন-রাত্রি, সকাল-বিকালের ভেদচিহ্নও প্রায় অবলুপ্ত। শীতের সকাল সেখানকার গতানুগতিক জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে শীতনিবারক পোশাকপরিচ্ছদের বৈচিত্র্য ছাড়া অন্য কোনো স্বাতন্ত্র্যের স্বাক্ষর রাখতে ব্যর্থ হয।

মহাকাল চিরচলিপ্পু। সকালের সূর্য তাই নির্দিষ্ট পদক্ষেপে উঠে আসে আকাশের অনেকখানি উপরে। বাড়তে থাকে রোদের তাপ। সরে যায় কুয়াশার ঘেরাটোপ। শিশিরকণা রোদের বুকে তার শেষ শয্যা রচনা করে। দেখতে দেখতে খর রৌদ্রোজ্জ্বল কর্মচঞ্চল জগতের বুকে সকালের শীত-জর্জর অথচ শান্ত শ্রীটি যায় হারিয়ে। বিদায় নেয় সকাল৷

🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘

-ঃআরও পড়ুনঃ–

🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here

🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here

🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here

🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here

🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here

🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here

🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here

🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here

🔵🔴  ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here 

🔵🔴  দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here

Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।