Hello Students,
Wellcome to www.edu.bengaliportal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি The seasons of Bengal. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন CTET | WBTET | WBCS । MPTET | ATET| UPTET | Rajasthan PTET | TNTET | Karnataka TET | RTET | HTET| PSTET। BANK EXAM। ইত্যাদি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই edu.bengaliportal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বাংলার ঋতুচক্র || The seasons of Bengal ||. এই বাংলার ঋতুচক্র || The seasons of Bengal || টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।
🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘
[pdf টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে Click করুন]
বাংলার ঋতুচক্র || The seasons of Bengal
গতিশীল মহাবিশ্ব। নিঃসীম মহাশূন্যে কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের মেলা। আলো হাতে যে যার কক্ষপথে নিত্যযাত্রী। যাত্রী আমাদের চিরচলিষ্ণু ধরিত্রীও। আপন কক্ষপথে সূর্য প্রদক্ষিণ করছে অবিরাম। তার ফলেই ঋতুরঙ্গশালায় ছয় ঋতুর প্রবেশ ও প্রস্থান।
ছয় ঋতুর অবস্থিতি বৈচিত্র্যময়। ‘নববর্ষের পুণ্যবাসরে’ গ্রীষ্মের সূচনা, জ্যৈষ্ঠের শেষাবধি তার ব্যাপ্তি। ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ ‘আসে উন্মাদ বরষা’ , শেষ শ্রাবণেও তার ‘ধারা ঝরে ঝরঝর। ভাদ্র-আঙিনায় শরৎ দেয় উকি-ঝুঁকি, আশ্বিনের শেষভাগে হিমেল অঙ্কে রচিত হয় তার বিদায়-শয্যা। দীপালির আলো হাতে হেমস্ত আসে কার্তিকে, অঘ্রানে উত্তুরে হিমেল বাতাসে তার বিদায়। কুয়াশায় ঘোমটা টেনে শীত হাজিরা দেয় পৌষে, মাঘেও থাকে তার শীতাতুর আবেশ। শীতার্ত প্রকৃতির ঘুম ভাঙিয়ে আসে’ বসন্ত, চৈত্রের শেষ অবধি তার গৌরবময় অবস্থিতি।
ষড়ঋতুর রূপবৈচিত্র্যও লক্ষণীয়। গ্রীষ্ম রুদ্র তাপস। রুক্ষ তার তনু। উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল।তৃতীয় নেত্রে রোষরুষ্ট অগ্নিস্রাবী দৃষ্টি। তার ‘লোলুপ চিতাগ্নি শিখায়’ আকাশ, বাতাস ও মৃত্তিকা হয় দগ্ধ। তার ডালি ভরতে আসে চম্পক, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ। গ্রীষ্মের অবসানে আসে ঘন গৌরবে নবযৌবন বরষা। বাদল হাওয়ার মাতন শাখায় শাখায়, পত্রপল্লবে। ‘মত্ত-দাদুরি, ডাকে ডাহুকি। অঝোর বারিবর্ষণে ভরে পুকুর পুষ্করিণী, বিশীর্ণ নদীনালা।
ফোটে কদম্ব কেতকী, জুঁই -হাস্নাহানা । কাশগুচ্ছ আর শেফালির মালায় ভূষিতা হয়ে প্রকৃতি-অঙ্গনে আসে শরত্রানি। বৃষ্টিধোয়া নীলাকাশ দেয় তাকে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি। কুয়াশার ঘোমটা টেনে বিষাদখিন্ন হৃদয়ে বৈরাগ্যের তপস্যায় হেমন্ত থাকে নীরব ধ্যানমগ্ন। শিশির শয্যায় যে হেমন্তের বিদায়, তারই কোমল অঙ্কে হিমেল বাতাসের একরাশ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বৈধব্যবেশে আসে ভরন্ত শীত। পদে পদে তার শীতাতুর জড়তা। বসন্তে উজ্জ্বল আলোর ধারায় দিমণ্ডল হয় উদ্ভাসিত। অশোক-কিংশুক শিমুলের রক্তাম্বরে ও নব কিশলয়ের শ্যামলতায় প্রকৃতির হয় নব রূপসজ্জা। কোকিল গায় পঞ্চমে। মধুপ গুঞ্জরণে বিমোহিত হয় অরণ্য।
ঋতুতে ঋতুতে হয় প্রকৃতির নতুন সাজসজ্জা, আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুষ্ঠিত হয় বাংলার উৎসবাদি ও পূজাপার্বণ। শরৎ ও বসন্তের দুই শ্রেষ্ঠ উৎসব – শারদোৎসব ও বসন্তোসব। বর্ষাবোধনে বাঙালির হৃদয়-স্ফূর্তি লক্ষ করা যায়। আষাঢ়ে অম্বুবাচি, অঘ্রানে নবান্ন, পৌষে পিঠা-পার্বণ ও তুষ – তুষালি , ফাল্গুনে হোলি ঋতু-উৎসবগুলির অন্যতম।
গ্রীষ্মে কালবৈশাখীর বর্ষণে শুষ্ক শতদীর্ণ মৃত্তিকা হয় সরস। কৃষকেরা হলকর্ষণ করে খারিফ ফসলের বীজবপন করে। বর্ষার অশ্রান্ত বারিপাতে কচি ধানের খেতে জল জমে। মাঠে মাঠে বীজ তোলা ও রোপণের ধুম পড়ে। শরতের তাজা রোদে ও মাঝে মাঝে বর্ষণে গাছগুলি বলিষ্ঠ হয়ে মঞ্জরিত হয়। হেমন্তের শিশির মঞ্জরিত শস্যদানার ক্ষীরকে পুষ্ট করে। হেমন্ত ও শীতের শুকনো আবহাওয়া খারিফ শস্য আহরণের অনুকূল। ওই সময়ই রবিশস্যের বীজবপন করা হয়। বসন্তে রবিশস্য পাকে। কৃষিনির্ভর বাঙালির জীবনে তাই ষড়ঋতুর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
শরীর ও মনের উপর আছে ষড়ঋতুর প্রত্যক্ষ প্রভাব। গ্রীষ্মের দাবদাহের মাঝে কখনো কখনো কালবৈশাখী আনে বৈচিত্র্য, তার মধুবর্ষণ দেয় অপার শাস্তি। জলাভাব উদরাময়, আন্ত্রিক প্রভৃতির মতো সংক্রামক ব্যাধির কবলে ফেলে। অতিরিক্ত গরম সর্দিগরমির কারণও হয়। বর্ষণ আর ঝোড়ো হাওয়ার মাতন মনকে দেয় নাচিয়ে নাচে রে আজিকে ময়ূরের মতো নাচে রে। আনন্দে উৎসবে গানে হয় তার বহিঃপ্রকাশ। জলীয় বাতাসের ফলে সর্দিকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয় অনেকে। মেঘের কালিমা মুছিয়ে শরৎ সোনারোদে ধরিত্রীকে স্নান করিয়ে দেয়। বাঙালি আনন্দে-উৎসবে, নাচে-গানে মনের দ্বারগুলিকে দেয় খুলে । শীতে ব্যাধির প্রকোপ থাকে কম । বসন্তে শরীরে মনে জাগে নব শিহরণ। কিন্তু বসন্ত রোগাক্রান্ত মানুষের শোনা যায় হা-হুতাশ : কোথা হা-হন্ত চিরবসন্ত আমি বসন্তে মরি।
বার্ষিক গতি ষড়ঋতুর প্রাণের উৎস। কল্পনা করতে কষ্ট হয়, পৃথিবী সূর্য-প্রদক্ষিণ করতে ভুললে প্রকৃতি-জগতে ঋতুতে পালাবদলের এত যে বৈচিত্র্য, রূপ ঐশ্বর্যের ছড়াছড়ি — সবই হবে অবলুপ্ত। সে বীভৎস অবস্থার কথা ভাবলে বাঙালিমন বেদনায় পাণ্ডুর হয়।
🔘 Join Our Telegram Chanel – Click Here 🔘
🔵🔴 ভারতের বৃহত্তম, দীর্ঘতম ও উচ্চতম pdf- Click Here
🔵🔴 বিপরীত শব্দ pdf- Click Here
🔵🔴 কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 পরিবেশ বিদ্যা প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ও নামকরণকারী দেশ pdf- Click Here
🔵🔴 সমোচ্চারিত শব্দ বা সমার্থক শব্দ pdf- Click Here
🔵🔴 বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তর pdf- Click Here
🔵🔴 বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন pdf- Click Here
🔵🔴 100+ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর pdf- click Here
🔵🔴 ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর pdf- click Here
🔵🔴 WBCS preliminary practice set pdf- Click Here
🔵🔴 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর pdf- Click Here
🔵🔴 ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর – Click Here
🔵🔴 দৈনিক ১০টি স্পেশাল MCQ – Click Here
Note: পোস্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ শেয়ার করুন।